৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১৬:০১

সিলেটে পানির জন্য হাহাকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে পানির জন্য হাহাকার

মাহে রমজানে এমনিতে যানজটে অতিষ্ঠ নগরজীবন। তার উপর ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে নানামুখী সমস্যায় পড়েছেন নাগরিকরা। বিশেষ করে নগরীর সর্বত্র এখন বিদ্যুৎ ও পানির জন্য হাহাকার চলছে। চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ায় সিলেটে হচ্ছে ঘন ঘন লোডশেডিং। যার ফলে গ্রাহকদের পানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।

নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, মহানগরে চাহিদার পুরোটাই পানি উত্তোলন করা সম্ভব হলেও বিদ্যুতের কারণে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

রমজানের মতো পবিত্র মাসে ইফতার ও সেহরীর সময়ও বিদ্যুৎ বঞ্চিত থাকতে হচ্ছে বিশাল জনগোষ্টীকে। দিনে গড়ে ১৬ ঘণ্টাও মিলছে না বিদ্যুৎ। ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকছে অনেক এলাকা। ফলে নগরজুড়ে পানি সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। মহানগরে গরমের মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও পানির সঙ্কট তীব্র হচ্ছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটে বিদ্যুতের চাহিদার অর্ধেকও পূরণ করতে পারছে না। এতে নগরবাসীর মধ্যে বিদ্যুৎ ও পানির চরম হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। এ সঙ্কট নিরসনে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে নগরবাসী।

মহানগরের মিরাবাজর এলাকার বাসিন্দা মিনশান জানান, রোজার সময় ইফতার এমনকি সেহরির আগেও লোডশেডিং হচ্ছে। একই সাথে পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানিও তোলা যাচ্ছে না। আমরা এ কী আজব শহরে বাস করছি তা বুঝতে পারছি না। বাথরুমসহ অনান্য কাজের জন্য পানি মিলছে না। এ অবস্থায় শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন। বাড়তি বিদ্যুতের দাম দিচ্ছি কিন্তু বিদ্যুৎ পাচ্ছি না।

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর জানান, নগরীতে প্রতিদিন পানির চাহিদা প্রায় ১০ কোটি লিটার। মহানগরে চাহিদার পুরোটাই পানি উত্তোলন করা সম্ভব হলেও বিদ্যুৎ বিড়ম্বনার কারণে নগরীতে পানি সরবরাহ কঠিন হয়ে দাঁড়য়েছে। একটি এলাকায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা পানি সরবরাহ হয়। এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেলে ঐ এলাকায় ফের পানি সরবরাহ বন্ধ থাকে। বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি আরও জানান, পাম্প চালুর একটু পরে বিদ্যুৎ চলে গেলে আবার ঐ এলাকায় পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা কঠিন হয়ে যায়। তার উপর অনেকে লাইনে মোটর বসিয়ে পানি উত্তলন করেন। যার ফলে সাধারণ গ্রাহকরা পানি পান না। আমরা প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করে মোটর জব্দ করছি। তাবে এ বিষয়ে মহানগরবাসীকে সচেতন হবে হবে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর