কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুস শহীদ এমপি বলেছেন, আমাদের চাষের জমি কমে যাচ্ছে, এই কম জমিতেই বেশী ধান উৎপাদন করতে হবে। বাংলাদেশের ধান গবেষণা কেন্দ্রের উদভাবিত উচ্চ ফলনশীল ব্রি ৮৯, ব্রি ৯৯, ক্লোন ১০০, বীনা ২৫ ও বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধান চাষ করে কৃষকরা অভূতপূর্ব ফলন পেয়েছেন। এলাকাভেদে এই জাতের ধান বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ মণ। যা আগে হতো সাত থেকে সাড়ে সাত মণ। তাই পুরোনো জাত বাদ দিয়ে এখন নতুন উদভাবিত ধানের জাতগুলোর চাষ করতে হবে।
আজ সোমবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে উত্তর উত্তরসুর গ্রামে বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট’র আয়োজনে ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর’র সহযোগীতায় বোর ধান কর্তন উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, এবার হাওর অধ্যুষিত সাত জেলায় ৪ লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এই আবাদ বাড়াতে সরকার কৃষকদের ২১৫ কোটি টাকারও বেশী প্রণোদনা দিয়েছে। এবার চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ২২ লক্ষ মেট্রিক টন। এখন ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়েছে। হাওরাঞ্চলে রোপণ করা ধানগুলো সঠিকভাবে ঘরে তুলতে পারলে আমাদের আর চালের ঘাটতি থাকবে না। দেশের উৎপাদিত চালের চাহিদার অর্ধেকেরও বেশী জোগান দেয় বোরো ধান। এই উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করে আমরা যেন বিদেশে রপ্তানি করতে পারি সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম’র সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (সরেজমিন উইং) মো. তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মতিউজ্জামান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব প্রমূখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল