১ মে, ২০২৪ ১৫:৫২

বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচন : ১০ প্রার্থীর সাতজনই প্রবাসী

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচন : ১০ প্রার্থীর সাতজনই প্রবাসী

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ১০ প্রার্থীর মধ্যে সাতজনই প্রবাসী। তাদের মধ্যে একজন যুুক্তরাষ্ট্র ও বাকি সবাই যুক্তরাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেতার লড়াইয়ে মরিয়া তারা।

তফসিল ঘোষণার আগ থেকেই দেশে ফেরে মাঠে নামেন এসব প্রবাসী প্রার্থী। দুর্যোগে উপজেলাবাসীর পাশে দাঁড়ানোসহ বিভিন্ন সেক্টরে কাজের কথা উল্লেখ করে দিনরাত-ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। করছেন ভোট প্রার্থনা।

শুধু উপজেলা নির্বাচনেই নয়, প্রবাসী অধ্যুষিত এ জনপদে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনেও দেখা যায় প্রবাসী প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। এ ছাড়াও প্রতিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার-প্রচারণার কাজে দেশে আসেন অনেক প্রবাসীরা।

প্রবাসী প্রার্থীরা হলেন-উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক যুক্তরাজ্য প্রবাসী গৌছ খান (কৈ মাছ), উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী আকদ্দুস আলী (হেলিকপ্টার), যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শামসাদুর রহমান রাহিন (শালিক পাখি), যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেবুল মিয়া (দোয়াত-কলম), যুক্তরাজ্যের ডরসেট আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল রোশন চেরাগ আলী (ঘোড়া), যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিএনপি নেতা সফিক উদ্দিন (উট পাখি) ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী এনাম (মোটরসাইকেল)।

স্থানীয়দের মধ্যে রয়েছেন জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ (আনারস প্রতীক), জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী (কাপ-পিরিচ) ও বিশ্বনাথ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাব হোসেন (টেলিফোন)।

সময়ের শৈল্পিক প্রজ্জ্বলন ‘বাতিঘর’র সাবেক সভাপতি, তরুণ সংগঠক গোলাম মোস্তফা বলেন, বিশ্বনাথের সকল নির্বাচনে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ লক্ষ করা যায়। অনেকেই আছেন যারা শুধু নির্বাচন আসলে দেশে আসেন এবং অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে নির্বাচিত হতে চান-এমন প্রার্থী নয় বরং যারা সব সময় এলাকার খোঁজ-খবর রাখেন, সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন, এমন কাউকে জনগণ মূল্যায়ন করবে বলে মনে করি।

যুক্তরাজ্যের ডরসেট আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল রোশন চেরাগ আলী বলেন, আমরা এই দেশেরই নাগরিক। প্রবাসে থাকলেও নাড়ির টানে, আমরা দেশের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছি। যেহেতু এটি প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা, তাই সুযোগ রয়েছে সকল প্রবাসীদের সমন্বয়ে সরকারের পাশাপাশি বিশ্বনাথ উপজেলার সাবির্ক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার।

এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আসাদুজজ্জামান আসাদ জানান, প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় তারা দেশে এসে প্রার্থী হন। অনেকে দলের সাথেও সম্পৃক্ত আছেন, আবার দল ছাড়াও আছেন। প্রবাসে থাকলেও তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। যেহেতু তারা রেমিট্যান্স যোদ্ধা। তাদের নির্বাচন করারও অধিকার আছে। জনগণ যাকে পছন্দ করবে, তাকেই জনগণ ভোটে নির্বাচিত করবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর