শিরোনাম
২৫ জুন, ২০২৪ ১৬:০৮

সিলেটে একদিকে বন্যা, অন্যদিকে তাপপ্রবাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে একদিকে বন্যা, অন্যদিকে তাপপ্রবাহ

বর্তমানে দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ বইছে, যা সিলেট জেলায়ও বিস্তার লাভ করেছে। সোমবার এক পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। সেজন্য সিলেটসহ দেশের ২৪ জেলায় মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে।  

চলমান সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও মাঝারি ও ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এদিকে, গত ৪ দিন ধরে  সিলেটে ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির ধারাবাহিক উন্নতি হচ্ছে। ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে যাওয়া  আশ্রয়কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন কমছে লোকজন। 

প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার রাত পর্যন্ত  সিলেটে প্রায় ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দী ছিলেন।তবে বিপদসীমার উপর দিয়ে বহমান ছিল সিলেটের দুটি নদীর ৩ পয়েন্টের পানি।

জানা গেছে, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে একদিনে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়েছেন সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে ঘরে ফিরলেও তারা পোহাচ্ছেন নানা ভোগান্তি। বন্যায় বিধ্বস্ত ঘর মেরামত, বিশুদ্ধ পানির সংকট ও রাস্তা-ঘাট ভেঙে যাওয়ায় চলাচলের কষ্টে আছেন তারা। এছাড়া বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত ত্রাণের সংকটও রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষে বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ তৎপরতা চলছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিচ্ছে।

জেলা প্রশাসন সূত্র সোমবার রাতে দুপুরে জানায়, এ সময় পর্যন্ত  সিলেটে ৭ লাখ ৯০ হাজার ৮৭৬ জন বন্যা কবলিত ছিলেন। এর মধ্যে মহানগরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা নেমে এসেছে ৩ শ’-তে। বর্তমানে মহানগরের ২টি ওয়ার্ড ও জেলার ১০৮টি ইউনিয়নে বন্যার পানি রয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন ১৩ হাজার মানুষ। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে। পৌঁছানো হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধপত্র।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্র মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে জানায়, রমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময়ে কুশিয়ার নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৯ ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে ফিরছেন বাসা-বাড়িতে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর