৫ জুলাই, ২০২৪ ১৯:৫২

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, কুশিয়ারার পানি বিপৎসীমার ওপরে

সিলেটে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টের পানি কমেছে, ফলে সাতদিন পর এই পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। তবে কুশিয়ারার সবকটি পয়েন্টের পানি এখনো বিপৎসীমার ওপরে। কুশিয়ারায় পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার জকিগঞ্জ, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, দক্ষিণ সুরমা, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে রাস্তাঘাট ডুবেছে এবং অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানির নিচে রয়েছে।

গত বুধবার রাতে জকিগঞ্জ পৌরসভার নরসিংপুর এলাকায় একটি ডাইক ভেঙে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবেশ করে। ফলে বৃহস্পতিবার পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয় এবং শুক্রবারও প্লাবিত এলাকার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সুরমা নদীর পানি কমায় গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এসব উপজেলায় পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে এবং আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা বন্যার্তরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার ১৩ উপজেলায় ১০১টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ১ হাজার ১৮০টি গ্রামের ৬ লাখ ২৬ হাজার ১৩৮ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। জেলার ৬৫০টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৩২৯ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

গত ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকায় শুক্রবার সারাদিনে ৩ থেকে ৬ সেন্টিমিটার করে সিলেটের নদ-নদীর পানি কমেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৫টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকালে এই দুই নদীর ৬টি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে ১৩০ সেন্টিমিটার, শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে ৩৮, ১০১ ও ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লোভা, সারি ও ডাউকি নদীর পানিও কমেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টি হয়নি। সুরমা নদীর পানি কমলেও কুশিয়ারায় পানি বেড়েছে। এছাড়া সিলেটের নদীগুলো পানিতে পরিপূর্ণ থাকায় উজানের পানি ধীর গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান বন্যায় সিলেটের ২৫ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মেরামতে ১৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। তবে বন্যার পানি পুরোপুরি না নামলে এসব বাঁধের কাজ করা যাবে না।

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর