টানা ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানি ঢলে আকস্মিক বন্যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী, কমলগঞ্জ, রাজনগর ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অসংখ্য ঘরবাড়ি, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। এতে কমপক্ষে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া সড়কপথে সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে গত রাত থেকে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে, কিন্তু ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে নতুন নতুন এলকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মনু ও ধলাই নদীর একাধিক স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বুধবার রাতে কমলগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এতে নতুন করে আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। অপরদিকে মনু নদীর টিলাগাঁও প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে কুলাউড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। মনু নদীর ভাঙনে রাজনগর উপজেলার টেংরা, কামারচাক, মনসুরনগর, রাজনগর সদর ইউনিয়নের বেশ রয়েছে ত্রাণ সংকট।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, আজ২৩ আগস্ট সকাল ৯ ঘটিকার সময় জেলার মনু নদী (রেলওয়ে ব্রীজ) বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার, চাঁদনীঘাট এলাকায় ১১৫ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সব কয়টি পয়েন্টে ৪ থেকে ৫ সে. মি. করে কমেছে।জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহম্মদ ছাদু মিয়া জানান, এখন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ। বন্যার্তদের সহায়তায় ১০৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, মৌলভীবাজারের সবগুলো নদীর পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত কাল থেকে আজ নদীর পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন