বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৩ ০০:০০ টা

কাঁদে কোন ক্রন্দসী

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪২ বছর পার হয়ে গেছে। স্বাধীনতা অর্জন করতে এই জাতির ৩০ লাখ লোকের রক্ত দিতে হয়েছে। দুই লাখ মা-বোনকে সম্ভ্রম হারাতে হয়েছে। আর বেসুমার লোককে নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে। তারপরই নয় মাসে স্বাধীনতা এসেছে। স্বাধীনতার উষালগ্নে একাত্তরের ডিসেম্বরে এ দেশকে মেধাশূন্য করতে বাঙালি নামি-দামি, বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এর পর জাতি দেখল বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলখানায় চার নেতা হত্যা, আর এক রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়া হত্যা। এর পর ঘটল সেনাবাহিনীর ৫৭ জন চৌকস ও দক্ষ সেনা অফিসারকে নারকীয় হত্যা, আর ২০১৩ সালে এসে জাতি দেখল স্বাধীনতাবিরোধী, অপশক্তি গোষ্ঠীর প্রকাশ্য উত্থান। এর কারণ কি? এর কারণ, একটি সোজা-সরল অঙ্ক ক্ষমতার মসনদ দখলের লড়াই। লোভ-লালসার কাছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অবক্ষয় প্রাপ্তি। তাই জাতীয় কবি নজরুলের ভাষায় বলতে হয়, কাঁদে কোন ক্রন্দসী কারবালা প্রান্তরে; সে কাঁদুনে আশু আনে সীমারেরও ছোরাতে। ইবলিশ আছে ও থাকবে। এটাও আল্লাহর বিধান। আবার সত্যের সেনারাও জেগে উঠবে, বিবেক যখন কথা বলবে। এটাও আল্লাহর বিধান। তাই তো ইয়ং টাইগারদের গর্জন শোনা যাচ্ছে- বাংলাদেশের পতাকা, হিমালয়ের চূড়ায়, স্বগৌরবে উড়েই চলেছে।

মোহা. নাছিবউল্লাহ খান

১৯৩/এফ, ফকিরাপুল, ঢাকা।

 

 

সর্বশেষ খবর