বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ০০:০০ টা

প্রসঙ্গ : মহার্ঘ্য ভাতা ও জাতীয় পে-স্কেল

ইতিপূর্বে আমরা দেখে এসেছি যখন দেশে মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করা হয় তার কয়েক মাস যেতে না যেতেই জাতীয় পে-স্কেল পাওয়া যায়। নতুন পে-স্কেল ঘোষণা হলে মহার্ঘ্য ভাতা তুলে দেওয়া হয়। এবার জাতীয় পে-স্কেল প্রণয়নকারীদের মাথায় আগাম একটি বিষয় ভাবনার জন্য উপস্থাপন করছি। বিষয়টি হচ্ছে, বেসরকারি শিক্ষকদের মাধ্যমিক পর্যায়ে যারা শিক্ষকতা করেন তাদের স্কেলের প্রতি সরকারের নজর দেওয়া উচিত। কারণ স্বল্প আয় দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবিকানির্বাহ করা অনেক কষ্টকর। বর্তমানে ৬ হাজার, ৮ হাজার, ১১ হাজার স্কেলের টাকা দিয়ে সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ চালানোর পর বাকি অর্থ দিয়ে সন্তান-সন্ততির লেখাপড়ার খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এ জন্য প্রয়োজন হবে জাতীয় পে-স্কেল পরিবর্তনের সময় ইনক্রিমেন্ট ও উৎসব ভাতা বাড়ানো।

স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত ইনক্রিমেন্ট যা দেওয়া হয়েছে তাই আছে। আর উৎসব ভাতা স্কেলের ২৫% দেওয়া হচ্ছে। ঈদ এবং পূজা উৎসবে প্রত্যেক শিক্ষকের অবশ্যই অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন। ঈদের মাসের বেতন দিয়ে অতিরিক্ত খরচ ও কোরবানি করলে পরবর্তী মাসে অনেক শিক্ষক-কর্মচারীদের ঋণ করে সংসার চালাতে হয়। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড আর শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। এ কারিগরকে যথার্থ মূল্যায়িত করলে জাতি উন্নত পর্যায়ে যাবে। কারণ যে জাতি যত শিক্ষিত সে দেশ তত উন্নত হয়েছে।

শিক্ষকের বেতন যথেষ্ট এবং সংসারের চিন্তা জ্বালা না থাকলে একজন শিক্ষক অবশ্যই ভালো পাঠদান করার কাজে সব সময় ব্যস্ত থাকবেন। দেশের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই শিক্ষাক্রম চালু। একই বোর্ডে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী রেজিস্ট্রেশন করে এবং ফলাফল একই। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও গোল্ডেন এ প্লাস পায়। তাহলে স্কেলের ব্যাপারে বৈষম্য না রেখে শিক্ষার মূল্য দিয়ে সামনের দিনগুলোতে বেসরকারি মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষক সমাজের উন্নয়নে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বাঙালি জাতির শিক্ষক সমাজ উপকৃত হবে।

এস এম গোলাম মোস্তফা, ভুরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম।

সর্বশেষ খবর