৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:০০
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সুজন

চসিকে দুর্নীতি নির্মূল করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চসিকে দুর্নীতি নির্মূল করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় খোরশেদ আলম সুজন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সদ্য সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, সিটি কর্পোরেশনের প্রত্যেকটি বিভাগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে হবে। দুর্নীতি সারা বাংলাদেশে যেটা আছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনও এর বাইরে নয়। চসিক বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপও নয়। তাই চসিকে দুর্নীতি সমূলে নির্মূল করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। নতুন মেয়রকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। চোখ-কান খোলা রেখে দুর্নীতিবাজদের যদি আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেন, তাহলে দুর্নীতি নির্মূল করা না গেলেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের সিনিয়র্স ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে গত ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি চসিকের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। পদ থেকে বিদায় নেওয়ার পর গত ছয়মাসের নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।

বিদায়ী চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, বেসরকারি কনটেইনার ডিপো বা ইয়ার্ডগুলো চট্টগ্রামের গলার কাঁটা। এসব ইয়ার্ডের কারণে নগরের প্রবেশমুখসহ বিমানবন্দর, কাঠগড় সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট হচ্ছে। প্রডাক্টিভ পোর্টের জন্য গতিশীল শহর দরকার। পোর্ট ডিউস থেকে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে চসিককে। তাহলে চসিকের ৭-৮ শত কোটি টাকা আয় হবে। কাস্টম হাউসের রাজস্ব থেকে ১ শতাংশ দিতে হবে। ল্যান্ডর অব অরজিনকে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। চট্টগ্রামের উন্নয়ন হলে সমগ্র দেশের উন্নয়ন হবে। চসিক ইপিজেডের ময়লা পরিষ্কার করবে, শ্রমিকদের আসা যাওয়ার ব্যবস্থা করবে, তাই আপনার ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। একেকটি কারখানা চসিককে বছরে ২ হাজার ডলার দিতে পারে। দরকার হলে আইন করা হোক। রড ফ্যাক্টরির ইয়ার্ড কি শহরের রাস্তাঘাট?

সুজন বলেন, নতুন মেয়রের প্রতি আমার পরামর্শ হচ্ছে-উনাকে প্রকৃত অর্থেই নগরপিতা হতে হবে। নগরপিতা হয়ে উনাকে সব মানুষের হতে হবে। দল থেকে নির্বাচন করে নির্বাচিত হলেও মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর ভাবতে হবে-আমি এই শহরের ৬০ লাখ মানুষের অভিভাবক। সিটি কর্পোরেশনের যে টাকা-সম্পদ, সেটা জনগণের সম্পদ, সেটাই ভাবতে হবে।’

তিনি বলেন, চসিকে দক্ষ জনবলের বড় সংকট। এখানে প্রায় ১০ হাজার লোক কাজ করে। এক হাজারও কাজের লোক নেই। নিয়োগে কোনো নিয়মবালাই নেই। দক্ষ জনবল তৈরি করতে না পারলে সংকট থেকে যাবে। যিনি যে কাজের লোক, তাকে সেই জায়গায় বসাতে হবে। পরিচ্ছন্ন বিভাগে কিছু অতিরিক্ত লোক আছে। অতিরিক্ত জনবল ছাঁটাই করা উচিত। মেকানিক্যাল ও বিদ্যুৎ বিভাগ আকারে বিরাট। কিন্তু সেখানে একজন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারও নেই। ডোর টু ডোরে মাত্র ৪০-৪৫ শতাংশ লোক কাজ করে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর