১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:০৬

চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য ঝুঁকির অন্যতম কারণ শব্দ দূষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য ঝুঁকির অন্যতম কারণ শব্দ দূষণ

প্রতীকী ছবি

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, মানুষের শব্দ গ্রহণের সহনীয় মাত্রা ৪০ থেকে ৫০ ডেসিবল। অথচ সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, চট্টগ্রামে নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষিত এলাকাতেও শব্দের মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। নীরব এলকায়ও প্রচুর শব্দ দূষণ হচ্ছে। এখন নগর জীবনে স্বাস্থ্য ঝুঁকির একটি অন্যতম কারণ শব্দ দূষণ। নির্মাণ কাজ, দ্রুত অপরিকল্পিত নগরায়ন, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ নানা কারণে এ সমস্যা ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শব্দ দূষণ এখন আরেক নীরব ঘাতক।

শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কেবি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক’ প্রকল্পের উদ্যোগে সাংবাদিকদের শব্দ সচেতনতা মূলক কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. মো. ইসমাইলখান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক পশ্চিম) তারেক আহমেদ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। 

পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক খন্দকার মাহমুদ পাশা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুহিদুল আলম। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদফতরের ল্যাবরেটরির পরিচালক ইশরাত রেজা, উপ পরিচালক জমিরউদ্দিন, সিনিয়র কেমিস্ট মো. কামরুল হাসান প্রমুখ।

প্রধান অতিথি প্রফেসর ডা. মো. ইসমাইল খান বলেন, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সবার এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। গণমাধ্যম যদি শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে, তাহলে সমাজে এর কার্যকর প্রভাব পড়বে। আমাদের সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমেই শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সফলতা আনা সম্ভব।

বিশেষ অথিতি মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, মাটি, পানি, বায়ু দূষণের পাশাপাশি শব্দ দূষণের ভয়াবহতা বিবেচনায় নিয়ে পরিবেশ অধিদফতর ২০২০-২০২২ মেয়াদে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা-২০০৬ অনুযায়ী, শব্দের সহনশীল মাত্রা নির্দিষ্ট করে দেয়া হলেও তা অনুসরণ করা হচ্ছে না। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়াগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

সর্বশেষ খবর