বৈদেশিক ডাকে করে ইতালি থেকে আগেও একাধিক চালান পাঠিয়েছেন প্রবাসী রাজীব বড়ুয়া। ওই চালানগুলোতে অস্ত্র ছিল কি না তা নিশ্চিত হতে না পারলেও ‘অস্বাভাবিক’ কিছু ছিল এমনটাই ধারণা করছেন মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা। এক সময়ের যুবদল ক্যাডার কেন অত্যাধুনিক অস্ত্রের চালান এনেছেন, নেপথ্যে আর কে কে রয়েছেন এমন সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে প্রশাসন। তাদের দাবি, এ চালানের অন্যতম হোতা রাজীব বড়ুয়া বর্তমানে দেশেই অবস্থান করছেন। তাই তাকে গ্রেফতার করতে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।

সিএমপির উপকমিশনার (বন্দর) এস এম মেহেদী হাসান বলেন, ‘এখনো আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি কেন অত্যাধুনিক অস্ত্র ইতালি থেকে আনা হয়েছে। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে ইতালি প্রবাসী রাজীব বড়ুয়া বর্তমানে দেশেই অবস্থান করছেন। তাকে গ্রেফতার করা গেলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। তাই তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, ইতালি থেকে অস্ত্রের চালান পাঠানো রাজীব বড়ুয়া এলাকায় যুবদল ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। বায়েজিদ ও আগ্রাবাদে তিনি মূর্তিমান আতঙ্ক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি ভারতে পালিয়ে যান। পরে লিবিয়া হয়ে ইতালিতে স্থায়ী হন।

সম্প্রতি আগ্রাবাদ এলাকার এক অপরাধী চক্রের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। ইতালি থেকে তিনি নাইন এমএম এবং এইট এমএম অস্ত্রের চালান পাঠালেও বর্তমানে দেশেই অবস্থান করছেন। ৪ ফেব্রুয়ারি তিনি ইতালি থেকে দেশে আসেন। কাস্টমস অস্ত্রের চালান জব্দের পর গা ঢাকা দেন রাজীব। 

সিএমপির বন্দর থানার ওসি জাহেদুল কবির বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে কামরুল হাসান নানা তথ্য দিচ্ছেন। এ তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।’ 

প্রসঙ্গত, ২০ ফেব্রুয়ারি বৈদেশিক ডাকে করে গৃহস্থালি পণ্যের আড়ালে আসা একটি অস্ত্রের চালান জব্দ করে কাস্টমস। ওই চালান থেকে একটি করে নাইন এমএম পিস্তল, এইট এমএম পিস্তল এবং দুটি খেলনা পিস্তল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে নগরীর বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। 

মামলায় ওই চালানের প্রাপক আগ্রাবাদ এলাকার কামরুল হাসান এবং প্রেরক ইতালি প্রবাসী রাজীব বড়ুয়াকে আসামি করা হয়। পরে ওই চালানের প্রাপক চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১-এর অফিস সহকারী কামরুল হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর