৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৮:৫২

নালা-খাল পরিষ্কারে সিডিএর কাছে ১০০ কোটি টাকা চাই : চসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

নালা-খাল পরিষ্কারে সিডিএর কাছে ১০০ কোটি টাকা চাই : চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল নালা পরিষ্কারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চলমান প্রকল্প থেকে ১০০ কোটি টাকা চেয়েছেন। বুধবার দুপুরে চসিকের সম্মেলন কক্ষে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে চসিক-সিডিএ সমন্বয় সভায় চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ টাকা চান। 

সভায় বক্তব্য রাখেন সিডিএ চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লে. কর্নেল শাহ আলী। উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, মো. মোবারক আলী, মো. ইসমাইল, আবদুল মান্নান, সালেহ আহমদ চৌধুরী, জিয়াউল হক সুমন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মো. মোর্শেদ আলম, মো. কাজী নুরুল আমিন, পুলক খাস্তগীর, আবদুস সালাম মাসুম, আবুল হাসনাত বেলাল, এম. আশরাফুল আলম, মো. নুরুল আলম, হাজী নুরুল হক, মো. নুরুল আমিন ও ওয়াসিম উদ্দিন প্রমুখ।   

সভায় কাউন্সিলরদের দাবি ছিল, বর্ষার পূর্বেই খালের মাটি ও বাঁধ অপসারণ, নালার স্লোভ ঠিক করা ও প্রকল্পের কাজের সঙ্গে কাউন্সিলরদের সমন্বয় করা।  

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের মূল কাজের কিছু সিডিএ ও কিছু সেনাবাহিনী করছে। এই প্রকল্পের অধীনে নগরীর ওয়ার্ডগুলোতে বেশ কিছু ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। এসব ড্রেনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণে চসিকের কোনো বরাদ্দ নেই। বর্তমানে চসিকের ফান্ডের অবস্থাও ভালো না। এই পরিস্থিতিতে নালা-খাল মেইনেটিন্যান্সের দায়িত্ব কর্পোরেশনের পক্ষে নেয়া সম্ভব নয়। 

কারণ কর্পোরেশনে ফান্ড ও প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব রয়েছে। যদি সিডিএ কোনো বরাদ্দ দিতে না পারে সে ক্ষেত্রে আমাদের বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ের দারস্থ হব। তিনি বলেন, এ প্রকল্পের অধীন ৫টি খালের ওপর রেগুলেটর বসানো হয়েছে। যা চলতি বছরের জুনে চালু করার কথা। সেনাবাহিনীর ৩৪ কনস্ট্রাকশন বিগ্রেড থেকে প্রয়োজনীয় লোকবলের চাহিদা দিলেও, তা এখনো দিতে পারেনি কোনো সংস্থাই। এ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা কাটাতে প্রথম বছর এসব রেগুলেটরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে দেয়া যায়।  

সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, এবারের জলাবদ্ধতা অন্যবারের মতো হবে না। জলাবদ্ধতা প্রকল্পের চলমান চার বছরের কাজের মধ্যে এখনো দুই বছরের কাজ বাকি। এখনই শতভাগ ফলাফল পাবো এটা মনে হয় না। তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিংও প্রয়োজন। প্রয়োজনে  এ বিষয়ে পানি বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া যাবে।   

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী বলেন,  আসন্ন বর্ষার পূর্বে এপ্রিল মাস পর্যন্ত আমরা কাজ করতে পারবো। নগরীর বিভিন্ন এলাকার খালগুলোতে ১৭৬ কিলোমিটারের মতো রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসন কাজে এটা বড় অগ্রগতি। পাশাপাশি অনেক এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানও চালাতে হচ্ছে।

পুরো প্রকল্পের কাজ সমানতালে করা সময় সাপেক্ষ। কারণ এখানে বহু প্রতিবন্ধকতা আছে। তবে এবছর নগরীর প্রবর্তক মোড়ে প্রতিবারের মতো জলাবদ্ধতা হবে না। কারণ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অপসারণসহ এর পিছনের খালের অবৈধ স্থাপনা সরানো হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর