২৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০৭
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ

চট্টগ্রামে বিলম্বে আসায় পরীক্ষা দিতে পারেননি শতাধিক প্রার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে বিলম্বে আসায় পরীক্ষা দিতে পারেননি শতাধিক প্রার্থী

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে না পারায় শতাধিক প্রার্থী পরীক্ষা দিতে পারেননি। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার পর চট্টগ্রাম নগরের কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র এ ঘটনা ঘটে।  

অভিযোগ উঠেছে, কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করেছে।  

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম নগরের ৬৪টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা। প্রবেশপত্রের শর্তানুযায়ী পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করার নিয়ম। কিন্তু যানজটের কারণে প্রায় শতাধিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেননি। অনেক পরীক্ষার্থী মাত্র দুই মিনিট দেরি করে আসলেও নিয়মের কথা বলে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এসময় অনেক নারী প্রার্থী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।  

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হয়। প্রবেশপত্রের পিছনে এ শর্ত উল্লেখ আছে। বারবার করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে। এরপরও কেউ যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে না পারে, তাহলে আসলে কিছুই করার নেই।

জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ৮৫০টি। আর এই পদের বিপরীতে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন ৫৪ হাজার ৮৯৪ জন। এক পদের জন্য লড়ছেন ৬৪ জন চাকরি প্রত্যাশী। প্রথমধাপে চট্টগ্রামসহ দেশের ২২টি জেলায় গতকাল নিয়োগ পরীক্ষা হয়। দ্বিতীয় ধাপে ২০ মে ৩০ জেলায় এবং তৃতীয় ধাপে ৩ জুন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩১টি জেলায়। ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে নিয়োগ পরীক্ষা আটকে যায়। ইতোমধ্যে সারাদেশে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়। শিক্ষক ঘাটতি নিরসনে পূর্বের বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর