৬ জুলাই, ২০২২ ১৮:৩২

জলাবদ্ধতা নিরসন : দশ কর্ম দিবসেও মেলেনি রিপোর্ট

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

জলাবদ্ধতা নিরসন : দশ কর্ম দিবসেও মেলেনি রিপোর্ট

চট্টগ্রাম নগরের অভিশাপ খ্যাত জলাবদ্ধতার কারণ অনুসন্ধানে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দশ কর্ম দিবসেও তদন্ত কমিটি রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন প্রকাশ না হলে ঈদের পরই তা প্রকাশ হবে।       

জানা যায়, বর্ষা মৌসুম শুরুর পরদিন থেকে চট্টগ্রামে শুরু হয় টানা বর্ষণ। কয়েকদিনের বর্ষণে তলিয়ে যায় নগরের অধিকাংশ নিচু এলাকা। ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। স্বয়ং চসিক মেয়রের বাসাও তিনদিন পানির নিচে ছিল। তখন পুরো এক সপ্তাহ নগরজুড়ে টক অব দ্যা টাউন ছিল জলাবদ্ধতার বিষয়টি। 

কড়া সমালোচনার মুখে গত ২২ জুন চসিক-সিডিএসহ সেবা সংস্থাগুলো ‘চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় জলাবদ্ধতার প্রকোপ নিরসনে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত’ বিশেষ সভার আয়োজন করে। সভায় জরুরি ভিত্তিতে চলতি বর্ষায় জনগণকে জলাবদ্ধতা হতে মুক্ত রাখতে করণীয় নির্ধারণে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক অনুসন্ধান প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। কিন্তু দশ কর্মদিবস পার হলেও রিপোর্ট দেয়া হয়নি। প্রতিবেদন তৈরি করা হলেও প্রকাশ করা হয়নি।   

কমিটির আহ্বায়ক ও সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, আমরা বিভিন্ন ওয়ার্ড ও সংশ্লিষ্ট এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। ইতোমধ্যে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ খুলে দেয়াসহ কিছু কাজও বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রতিবেদন তৈরির কাজও শেষ হয়েছে। প্রতিবেদনে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদী কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। শীঘ্রই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।      

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গঠিত কমিটি ইতোমধ্যে চসিকের ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর, ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া, ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ও ১৯ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড এলাকা পরিদর্শন করেন। নগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর এলাকা, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বীর মহল খাল, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনুছ কোম্পানির বাড়ি, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াহিদুর পাড়া সংলগ্ন বাঁধের মাটি সরাতে নির্দেশ দেয়। 

একই সঙ্গে চাক্তাই ডাইভারশন খালের তক্তারপুল এলাকায় সেতু নির্মাণের জন্য দেওয়া খুঁটি অপসারণ, নগরের বাকলিয়ার মাজার গেইট এলাকায় চসিকের ৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগ সড়ক অংশের খালে বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে। 

তাছাড়া ভরাট হয়ে যাওয়ায় রাজাখালী খালের শাখা কৃষি-১ ও কৃষি-২ অংশের অবৈধ স্থাপনাও অপসারণ এবং মির্জা খাল, রাজাখালী খাল ও গয়না খালের সংযোগস্থলে দেওয়া বাঁধ খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। নগরের চন্দনপুরায় নির্মাণাধীন বাকলিয়া সংযোগ সড়কের জন্য চাক্তাই খালের ওপর নির্মিত সেতুর নিচ থেকে মাটি অপসারণ করার কাজ চলছে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর