৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:০২

জঙ্গল সলিমপুরে বস্তিবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

জঙ্গল সলিমপুরে বস্তিবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর ছিন্নমূল বস্তি এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গিয়ে বস্তিবাসীদের বাধার মুখে পড়েছে অভিযানকারী দল। এ সময় স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল ১নং সমাজ ও আলী নগর বস্তি এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানে গেলে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় আহত ৬ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- মো. আলী রাজ হাসান সাগর (২৬), বাবলু মন্ডল (২৮), আমেনা বেগম (৩৫), আমেনা বেগম (৫০), মোহাম্মদ পারভেজ (২৭) এবং মোহাম্মদ রাসুল (২০)। এর মধ্যে বাবলু আনসার সদস্য এবং বাকিরা বস্তিবাসী।

জানা যায়, পূর্ব ঘোষণা মতে বৃহস্পতিবার সকালে সলিমপুরের বায়েজিদ লিংক রোডের দু’পাশের ফুটপাত, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির পাইপ লাইনের উপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা এবং ফুটপাত ও পাইপলাইন সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযানে যায় জেলা প্রশাসন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লিংক রোডের বায়েজিদ অংশের শুরুর দিক থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সড়কের দুপাশের ফুটপাত ও ফুটপাত ঘেঁষে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয় প্রশাসন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা ছিলেন।

পরে প্রশাসনের কর্মকর্তারা সলিমপুরের পাহাড়ের শেষের অংশে থাকা আলী নগরের দিকে অগ্রসর হন। এ অবস্থায় প্রবেশ পথের দু’পাশের পাহাড়ে অবস্থান নিয়ে স্থানীয়রা তাদের উপর ঢিল ছোড়েন। বেলা ১টার দিকে পুলিশ পাল্টা রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে। এ সময় পাহাড়ি পথের বেশ কিছু দূর এগিয়ে যাওয়া পুলিশ ও প্রশাসনের সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ঢিল ছোড়ে স্থানীয়রা। এ পরিস্থিতিতে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়তে ছুড়তে পাহাড়ি রাস্তা ধরে সলিমপুর থেকে বেরিয়ে যায়। পরে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বায়েজিদ লিংক রোডে অবস্থান নেয় পুলিশ। বিকাল পৌনে ৪টা পর্যন্ত পুলিশ ও প্রশাসনের সদস্যরা সেখানে অবস্থান করেন।

চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত মো. আলী রাজ হাসান সাগর বলেন, কোনো ধরণের পুনর্বাসনের উদ্যোগ ছাড়া আমাদের বসতি উচ্ছেদ শুরু করে। আমরা বসতি রক্ষা করতে গেলে প্রশাসনের লোকজন আমদের গুলি চালায়। পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, সলিমপুরের ঘটনায় রাবার বুলেটে আহত হয়ে কয়েকজনকে চমেক হাসপাতালের ২০, ২৬ ও ২৭নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।  

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, বায়েজিদ লিংক রোড ও সড়কের আশেপাশের ফুটপাত ও গ্যাসলাইন ঝুঁকিমুক্ত করার অভিযান ছিল। এরপর অভিযান দল আলী নগর এলাকায় পরিদর্শনে যাই। তখনই ইট-পাটকেল ছুড়তে ছুড়তে তারা হামলা করে। রাবার বুলেট ছুড়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে কয়েকজন আহত হয়। এ সময় আমাদের সাথে থাকা একজন আনসার সদস্য, জেলা প্রশাসনের চারজন কর্মচারী এবং চারজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর