দিন দিন বেড়েই চলেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। প্রতি সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৫-২০ টাকা করে বাড়ছে মুরগি। কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না মুরগির বাজার। মুরগির খাদ্য ও মুরগির ছানার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে মুরগিরও দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও গত দু’সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হয়েছিল ১শ’ টাকায়। বর্তমানে পণ্যটির দাম গিয়ে ঠেকেছে ১২০ টাকায়।
চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি সিডিএ কাঁচা বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী আবদুল হাকিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করা হয় বিদ্যুতের সাহায্যে। এ পর্যন্ত চারবার বিদ্যুতের দাম বেড়েছে, যার কারণে মুরগির ডিমের দাম যেমন বেড়েছে তেমনিভাবে মুরগির ছানারও দাম বেড়েছে। এছাড়াও বিদেশ থেতে আগে মুরগির ফিড আসতো, তাও এখন কম আসছে। যার কারণে এসব কিছুর ভার গেছে মুরগির উপর, খোলা বাজারের উপর।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, লাউ ৪৫ টাকা, শিম ৬০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা ও পেঁপে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।এদিকে প্রতিকেজি পাঙ্গাস ১৭০ টাকা, শিং ৫শ’ টাকা, চিংড়ি ৬শ’ টাকা, পাবদা ৪৫০ টাকা, শোল ৪৮০ থেকে ৫শ’ টাকা, রুই ২৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, কাতলা ৩শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫৫ থেকে ২৬০ টাকায়। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা ও দেশী মুরগি ৫৩০ থেকে ৫৪০ টাকায়। তাছাড়া হাড়সহ গরুর মাংস ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা। আর হাড় ছাড়া গরুর মাংস ৮শ’ থেকে ৮৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে খাশির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকায়।
নিত্যপণ্যের মধ্যে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। দেশি মসুর ডাল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা, মোটা দানার মসুর ডাল ১শ’ থেকে ১১০ টাকা, মানভেদে ছোলা ৮২ থেকে ৯৫ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন (১ লিটার) ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, আকারভেদে রসুন ১১০ থেকে ১৪০ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা ও প্যাকেটজাত ময়দা ৭২ থেকে ৭৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল