২৩ আগস্ট, ২০২৩ ২১:৩৮

দৃষ্টিকটু ময়লার ভাগাড় সরাতে চায় চসিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

দৃষ্টিকটু ময়লার ভাগাড় সরাতে চায় চসিক

ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

চট্টগারম নগরের খোলা জায়গায় থাকা ময়লা ফেলার ভাগাড়গুলো সরিয়ে সেখানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ভূগর্ভস্থ বর্জ্য সংগ্রহাগার  (এসটিএস) গড়তে চায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। বুধবার (২৩ আগস্ট) চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.  রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে ফিনল্যান্ডের হাবা গ্রুপের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাতে আসলে তিনি এ কথা বলেন। 

প্রতিনিধিদল এসময় মেয়রের কাছে একটি প্রেজেন্টেশন ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রযুক্তিটি ব্যবহারের সুবিধা তুলে ধরেন।  প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন হাবা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হারি সোলোমা, মার্কেটিং ডিরেক্টর রোশদি ইব্রাহিম এবং জাহেদুল আলম রবিন।  সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আকবর আলী।

চসিক মেয়র বলেন, বর্তমানে নাগরিকরা অনেক সচেতন। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক গোছানোভাবে হচ্ছে। তবে আমাদের এখন সাশ্রয়ী, প্রযুক্তিনির্ভর ও পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যেতে হবে। আমি চাই রাস্তায় থাকা ভাগাড়ের কারণে নাগরিকদের যে ভোগান্তি তা হ্রাসে ২০২৪ সালের মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন করতে।   

এসময় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, চট্টগ্রামে ময়লা ফেলার প্রচলিত পদ্ধতিতে বাসা-বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহহের পর রাস্তার ওপর থাকা বর্জ্য  সংগ্রহাগারে সে ময়লা ফেলা হয়। পরবর্তীতে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা সে বর্জ্য সংগ্রহ করে ল্যান্ডফিল্ডে নিয়ে যান। এ পদ্ধতিতে রাস্তার উপর থাকা এসটিএসের বর্জ্যরে দুর্গন্ধে নাগরিকরা কষ্ট পান। রাস্তার ওপর থাকা বর্জ্য দৃষ্টিকটু পরিস্থিতি তৈরি করে। সমস্যা সমাধানে চসিক সম্মত হলে হাবা গ্রুপ ভূগর্ভস্থ বর্জ্য সংগ্রহাগার গড়ে তুলবে। ফলে ময়লা চোখেও পড়বেনা, দুর্গন্ধও ছড়াবেনা। 

এই আধুনিক বর্জ্য সংগ্রাহাকারে থাকবে হাইড্রোলিক প্রেশারের মাধ্যমে ময়লাকে সংকোচনের প্রযুক্তি। ফলে একই স্থানে আগের তুলনায় দ্বিগুণ বর্জ্য সংগ্রহ করা যাবে। আধুনিক প্রযুক্তির এই বর্জ্য সংগ্রহাগার পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্তা পাবেন সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা। তখন সে বর্জ্য সংগ্রহ করে ল্যান্ডফিল্ডে নিয়ে যাবে চসিকের কর্মীরা। পুরো প্রক্রিয়াটি পরিবেশ বান্ধব। এর মাধ্যমে কমবে নাগরিক দুর্ভোগ, কমবে জ্বালানি সাশ্রয়।

 
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর