চট্টগ্রাম নগরের পশ্চিম শহীদ নগর তৈয়াবিয়া হাউজিং এলাকায় হেলে পড়া চারতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে জেলা প্রশাসনের তদন্ত টিম। সোমবার দুপুরে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মামুনুর রহমানের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনের সময় তদন্ত কমিটির অপরাপর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার বিকালে তদন্ত কমিটি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আবারও বৈঠকে বসার কথা।
পরিদর্শন টিমে থাকা কাট্টলি সার্কেলের সহকারি কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক বলেন, পরিদর্শনে গিয়ে ভবনটি হেলে থাকা অবস্থায় দেখলাম। এমন অবস্থায় চলমান মেগা প্রকল্পের কর্তৃপক্ষকে খাল খনন কাজের প্রয়োজনীয় কাগজ, ভবন মালিককে সয়েল টেস্ট, ভবনের সিডিএর নকশা অনুমোদনের কাগজ, সংশ্লিষ্ট আর্কিটেকের নকশা অনুমোদনের কপি এবং ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারকে খাল ও ভবনের জায়গার স্ট্রেস ম্যাপ তদন্ত কমিটির কাছে উপস্থাপন করতে বলা হয়। সব পক্ষের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে তদন্ত কমিটি বৈঠকে বসার কথা।চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ভবনটি হেলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এরপরই সাত সসদ্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ মতে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনিয়মের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া যাবে না।
জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যায় নগরের পশ্চিম শহীদ নগর তৈয়াবিয়া হাউজিং এলাকায় একটি চারতলা ভবন পাশের ছয়তলা ভবনের সঙ্গে হেলে পড়ে। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালককে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঘটনার পর হেলে পড়া ভবন ও আশপাশের আরও চারটি ভবন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ৫টি ভবনে কেউ যেন পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বসবাস না করেন সে জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের রাখা হয়েছে আশেপাশের বিদ্যালয়ে। হেলে পড়া ভবনের পাশেই জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের অধীনে শীতল ঝর্ণা খাল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কাজ করছে সিডিএ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল