১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১৭:০৮

চট্টগ্রামে ৫০ দিন পর খুলল বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের তালা

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ৫০ দিন পর খুলল বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের তালা

চট্টগ্রামে প্রায় ৫০ দিন পর নেতাকর্মীদের দেখা পেয়েছে বিএনপির দলীয় কার্যালয়। গত ২৪ অক্টোবর থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত তালা ছিল বিএনপির কার্যালয়ে। প্রায় ৫০ দিন পর নেতাকর্মীদের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠেছে কাজীর দেউড়িস্থ নাসিমন ভবনের কার্যালয়টি। 

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের পর আগামীকাল বিজয় দিবসে বিজয় র‌্যালির মাধ্যমে শোডাউন করবে বিএনপি। ইতিমধ্যে নেতাকর্মীদের সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রতি বছর বিজয় দিবসে আমরা যে আয়োজন করি এ বছরও তা হবে। প্রতি বছর পার্টি অফিস থেকে বিজয় র‌্যালি নিয়ে শহীদ মিনার যায়, এ বছরও হবে। বিজয় র‌্যালিতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান থাকবেন। এতে সকল নেতাকর্মী অংশ নিবে।

জানা যায়, গত ২৪ অক্টোর ঢাকার মহাসমাবেশ সফল করার জন্য প্রস্তুতি সভা করেছিল নগর বিএনপি। এরপর ২৮ অক্টোবর ঢাকার সমাবেশ ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এক প্রকার জনমানবশূণ্য হয়ে পড়ে দলীয় কার্যালয়। গ্রেফতার আতঙ্কে কোনো নেতাকর্মীকে দলীয় কার্যালয়ের আশেপাশে দেখা যায়নি। অবশেষে গত ১৪ ডিসেম্বর কার্যালয় মাঠে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করে নীরবতা ভেঙে সক্রিয় হয়েছে দলটি। আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র‌্যালির আয়োজন করেছে দলটি। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান র‌্যালির নেতৃত্ব দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে নেতাকর্মীদের মাঝে এখনো গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে। অপরদিকে বিজয় র‌্যালিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক উপস্থিতির মাধ্যমে বড় ধরনের শোডাউন করতে চায় বিএনপি। যার কারণে ইতিমধ্যে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নগর বিএনপি নেতা মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, গ্রেফতার আতঙ্ক নেতাকর্মীদের মাঝে এখন আর নেই। এখন নেতাকর্মীরা মামলা হামলাকে ভয় পায় না। দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার জন্য এবং দলের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছে। ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এ আন্দোলনে জনগণের বিজয় হবে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠানে নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপিপন্থী পেশাজীবিরা। বিএনপির শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের দেখা না গেলেও সাবেক বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাদের দেখা মিলেছে। তাদের মধ্যে নগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম। পেশাজীবিদের মধ্যে সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ত‌মিজ উ‌দ্দিন আহমেদ মানিক। 

এরআগে গত ১০ ডিসেম্বর পেশাজীবীদের ব্যানারে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রায় ৪৪ দিন পর ডা. শাহাদাতকে দেখা যায়। মূলত পেশাজীবীদের ওপর ভর করে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে বিএনপি- এমনটা মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর