চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নৌকার প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট আরমানুল ইসলামকে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। রবিবার ভোটগ্রহণের পর বাড়িতে গিয়ে তাকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ আরমান সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ হারুনের ছেলে।
সাতকানিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকার বলেন, গুলিবিদ্ধের কথা শুনেছি। এ ঘটনা নিয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ দিলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, আরমানুলের সাতকানিয়া সদরে একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলার হোসেন নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৌকার পোলিং এজেন্ট ছিলেন। আরমানুলের চোখে ও মুখে ছররা গুলি লাগে। তাকে প্রথমে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পাঠানো হলেও পরে ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।আহত আরমানুল ইসলামের ভাই ইয়াছিন আরফাত বলেন, তার ভাই নির্বাচনে কোনো ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে ছিলেন না। এরপরও তাকে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের সমর্থকেরা ভোটের দিন সকাল ১১টায় কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। রাতে ঈগল প্রতীকের প্রায় অর্ধশত কর্মী তার বাড়িতে গিয়ে বড় ভাই আরমানুল ইসলামকে গুলি করে। রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ঈগলের অনুসারীরা এসে আমার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। একপর্যায়ে আমি বের হয়ে তাদের গালাগাল করে ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে ঢুকে যাই। তখন হামলাকারীদের একজন সুপারিগাছ বেয়ে আমাদের দোতলা বাড়ির ব্যালকনি পর্যন্ত ওঠে। এরপর ব্যালকনি দিয়ে ঘরের ভেতরে থাকা আরমানুলকে গুলি করে।
সাতকানিয়া উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও এক পৌরসভা এবং লোহাগাড়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন মিলে গঠিত চট্টগ্রাম-১৫ আসন। আবদুল মোতালেব প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হয়েছেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হন আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক