ট্রেনে নাশকতার ঘটনা নতুন নয়। সর্বশেষ বেনাপোল থেকে আসা একটি ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। আর এতে প্রাণ হারিয়েছে চারজন। ফলে ট্রেনযাত্রাও অনিরাপদ হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যার কারণে ট্রেনে নিরাপত্তা জোরদার করার উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
এবার নাশকতা এড়াতে ট্রেনে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ। পাশাপাশি যেসব স্টেশনে আগে থেকে সিসি ক্যামেরা নেই সেখানেও লাগানো হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনগুলো পুরোপুরি সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের এসপি মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে নাশকতার ঘটনায় রেলের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি মানুষের জানমালেরও ক্ষতি হয়েছে। নাশকতা এড়াতে রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। প্রথমে কয়েকটি ট্রেনে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ট্রেন সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। সিসি ক্যামেরা থাকলে নাশকতার পাশাপাশি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপও রোধ করা যাবে। প্রথম পর্যায়ে সিসিটিভি মনিটরিং করা হবে রেলওয়ে পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে। কেউ নাশকতা কিংবা পাথর নিক্ষেপের মতো ঘটনা ঘটালে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা সহজ হবে। জানা গেছে, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো শুরু হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি থেকে এই কাজ শুরু হয়। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিতা, মহানগর প্রভাতী ও সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি ট্রেনে ১২টি করে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। নাশকতা এড়াতে ট্রেনের পাশাপাশি রেলওয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। প্রতিটি ট্রেনের সামনে-পেছনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। প্রথমে যাত্রীদের কাছে যেসব ট্রেনের চাহিদা বেশি সেসব আন্তঃনগর ট্রেনে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। এছাড়া রেলওয়ে স্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এরআগে গত ৬ জানুয়ারি ট্রেনে নাশকতা সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়াও ট্রেনে পাথর নিক্ষেপেরও ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। সিসি কামেরার আওতায় আসার পর চুরি, পাথর নিক্ষেপও কমে আসছে বলে মনে করছেন যাত্রীরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল