চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী স্থানীয় সরকার দিবস উপলক্ষে নগরের প্রবর্তক মোড়ের রুপালি গিটার চত্বরের পাশের নালা পরিদর্শন করেন। এ সময় নালায় দেখা যায় বাথ রুমের ভাঙা কমোড, পুরোনো লেপ-তোষক এবং মেডিকেল বর্জ্যসহ বিভিন্ন অপচনশীল বর্জ্য। এসব দেখে চসিক মেয়র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বুধবর সকালে তিনি নালা পরিদর্শন করেন। এ সময় বর্জ্যে ভরপুর থাকা নালাটি অর্ধশতাধিক পরিচ্ছন্নকর্মীকে নিয়ে পরিচ্ছন্ন করা হয়।
চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম বলেন, খাল-নালায় জমে থাকা মাটি-পলিথিন পরিস্কার করতে পারলে বর্ষায় জলাবদ্ধতা কমবে। নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে আমরা বছরব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছি। কিন্তু কিছু মানুষের অসচেতন আচরণ নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখার পেছনে বড় বাধা। এজন্য আমরা সচেতনতা বাড়াতে জোর দিচ্ছি।তিনি বলেন, মানুষ সচেতন না হলে কখনোই এ শহর পরিস্কার রাখা যাবে না। জনগণ যদি সচেতন হয় ভৌগলিক কারণে বর্ষায় পানি উঠলেও দ্রুত নেমে যাবে। এরপরও কেউ অযথা নালায় ময়লা ফেললে যার প্রতিষ্ঠান-বাসার সামনে ময়লা পাবো তাকে আইনের আওতায় আনব ও জরিমানা করব।
মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা কমাতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় আছে। নগরীর ৩৬টি খালে জলাবদ্ধতা নিরসনে উন্নয়ন কাজ চলছে সিডিএর অধীনে। এতগুলো খালের মাটি উত্তোলন, রিটেইনিং ওয়াল, গাইড ওয়াল, স্লাব বসানো সময়সাপেক্ষ কাজ। তাই সিডিএকে জানিয়েছি যাতে বর্ষার আগে অন্তত চলমান প্রকল্পের অধীন নালা-খালগুলোর জমে থাকা মাটি যাতে সরিয়ে নেয়া হয়। খাল-নালা পরিস্কার থাকলে জলাবদ্ধতা কমবে। নগরীর অভ্যন্তরীণ নালার দায়িত্ব আমাদের। আমরা এগুলো পরিস্কার করছি, মাটি উত্তোলন করছি। এটা চলমান থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক কাউন্সিলর মো. নূর মোস্তফা টিনু, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী, নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ফজলুল কাদের, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/এএম