৯ মে, ২০২৪ ২১:৩৩

একনেকে অনুমোদন : গতি পাবে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট নির্মাণ কাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

একনেকে অনুমোদন : গতি পাবে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিট নির্মাণ কাজ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ‘বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট’ নির্মাণ প্রকল্পটি একনেক সভায় অনুমোদন পেয়েছে। 

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। এর মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন  গতি পাবে বলে মনে করছে চমেক কর্তৃপক্ষ।  

জানা যায়, নগরের চট্টেশ্বরী সড়কের চমেক হাসপাতালের প্রধান ছাত্রাবাসের উত্তর পাশের (গোয়াছি বাগান) প্রস্তাবিত স্থানে নির্মাণ করা হবে বার্ন ইউনিট। প্রকল্পের জন্য ২৮৪ কোটি ৭৬ লাখ ৫২ হাজার টাকার একটি প্রস্তাব তৈরি করা হয়। চমেক হাসপাতাল থেকে পাঠানো প্রস্তাবটি একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে চীন সরকার অনুদান হিসাবে দেবে ১৮০ কোটি টাকা, বাকি টাকা দেবে সরকার। বর্তমানে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে শয্যা আছে ২৬টি।  

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত একনেক সভায় বার্ন ইনস্টিটিউট নির্মাণের প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। এখান থেকে যেভাবে পাঠানো হয়েছে সেভাবে অনুমোদন দেওয়া হয় বলে আমাকে জানানো হয়েছে। এখন আর প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা থাকল না। গতি পাবে নির্মাণ কাজ। আশা করি শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। কাজ শুরুর পর ২৪ মাসের মধ্যে শেষ করার আশা করছি। 

তিনি বলেন, ১৫০ শয্যার পৃথক বার্ন ইউনিটে থাকবে বহিঃর্বিভাগ, আন্তঃবিভাগ, জরুরি বিভাগ, ১০টি আইসিইউ বেড, পুরুষ ও নারীদের জন্য পৃথক ১০টি করে ২০টি এইচডিইউ বেড, শিশুদের জন্য পাঁচটি এইচডিইউ বেড। বার্ন ইউনিটের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র চীন সরকার অনুদান সহায়তা হিসেবে দেবে।

চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সরকারের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর চমেক হাসপাতাল এলাকায় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সম্ভাব্য জমি পরিদর্শনে আসেন চীন সরকারের একটি প্রতিনিধি দল। তখন বার্ন ইউনিটের জন্য হাসপাতালের পেছনের খালি জমি নির্ধারণ করা হয়। ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ বাংলাদেশস্থ চীনা দূতাবাস বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট করার আগ্রহ প্রকাশ করে। প্রায় চার হাজার বর্গফুট জমিতে চারতলা বিশিষ্ট বিশেষায়িত ইউনিটটি নির্মাণের নকশাও তৈরি করা হয়। কিন্তু নির্ধারিত স্থানে প্রয়োজনের তুলনায় কম জমি থাকায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। জটিলতা নিরসনে ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ চীনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে চমেক  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তখন সুরাহা না হওয়ায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন চীনের প্রতিনিধিরা। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও একাধিকবার আলোচনা করে প্রকল্পের নকশা পরিবর্তনের বিষয়ে চীন কর্তৃপক্ষকে রাজি করাতে পারেনি। ২০২০ সালের জুলাইয়ে চীন সরকারের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামে ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ বার্ন হাসপাতাল’ নির্মাণের বিষয়ে আবারও প্রস্তাব দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত। এর ভিত্তিতে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য চারটি স্থানের প্রস্তাব দেয়। ২০২২ সালে জুনে সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বার্ন ইউনিট নির্মাণের বিষয়ে জোরালো আলোচনা হয়। ওই বছরের ১১ জুন চীনা প্রতিনিধি দলের দুই প্রকৌশলী প্রস্তাবিত জমি পরিদর্শন করে গোয়াছি বাগানের জায়গাটি পছন্দ করেন। এখন সেখানেই নির্মিত হবে বার্ন ইউনিট।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর