৯ জুন, ২০২৪ ১৮:১১

শিশুকে হত্যার দায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

শিশুকে হত্যার দায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ১৪ বছর আগে কাজী মশিউর রহমান ওয়াসিম নামে এক শিশুকে হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় অপর এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম কাজী নাহিদ হোসেন বিপ্লব। রবিবার চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ রবিউল আউয়ালের আদালত এ রায় দেন।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে ওয়াসিম হত্যা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লবকে মৃত্যুদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামি রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন, পরে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কাজী ইকবাল হোসেন বিপ্লব নামে এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২২ নভেম্বর মীরসরাই উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের ভূঁইয়া তালুক কাজী বাড়ির পূর্বপাশের ছনখোলায় আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব ৫ বছর বয়সী শিশু ওয়াসিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ সময় সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দিয়ে শিশুটির মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। আসামি বাড়িতে এসে তার পরিবারকে ঘটনা খুলে বলে। ওই রাতে আসামির পরিবারের সদস্যরা ছনখোলা থেকে ওয়াসিমের মরদেহ বস্তাবন্দি করে পাশের ধানক্ষেতে ফেলে দেয়। শিশু ওয়াসিমকে না পেয়ে চাচা কাজী একরামুল হক মীরসরাই থানায় ২৩ নভেম্বর সাধারণ ডায়েরি করেন। ওইদিন শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ পাশের ধানক্ষেতে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন। ছনখোলা থেকে আসামির মোবাইল ও শিশুর স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়। শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর মীরসরাই থানায় ওয়াসিমের চাচা মামলা দায়ের করেন।

মামলা চলাকালীন সময়ে আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব হত্যার দায় স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করলে ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি  আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব, তার ভাই কাজী ইকবাল হোসেন বিপ্লব, বাবা ফজলুল কবির প্রকাশ হরমুজ মিয়া ও মা নুর জাহানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৩০২ ও ২০১ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন আসামি ফজলুল কবির ও আসামি নুর জাহান বেগম মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুবরণ করায় দুই আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর