২০ আগস্ট, ২০২৪ ২১:৫০

অসহায় ও দরিদ্র বিচারপ্রার্থী জনগণের ভরসার বাতিঘর লিগ্যাল এইড

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

অসহায় ও দরিদ্র বিচারপ্রার্থী জনগণের ভরসার বাতিঘর লিগ্যাল এইড

জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, লিগ্যাল এইড সমাজের অসহায়, ন্যায় বিচার বঞ্চিত অসহায় ও হত-দরিদ্র বিচার প্রার্থী নারী, পুরুষ ও শিশুর আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমের প্রসারকল্পে লিগ্যাল এইড কার্যক্রমের প্রচারের বিকল্প নেই। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ফলে অসহায়, দরিদ্র,  নির্যাতিত বিচারপ্রার্থী মানুষের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। জেলা লিগ্যাল এইড কার্যালয় অসহায় ও দরিদ্র বিচারপ্রার্থী জনগণের ভরসার বাতিঘর।

মঙ্গলবার বিকালে নগরের একটি হোটেলে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন বøাস্টের সহযোগিতায় আয়োজিত সরকারি আইনি সহায়তা বিষয়ক প্রচারণামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্লাস্টের উপদেষ্টা এডভোকেট রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক এবং জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, বিবিএফ প্রতিনিধিসহ জেলার সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতষ্ঠিানের প্রতিনিধিবৃন্দ।

জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে প্রেরিত শিশুদের আইনি সহায়তার আবেদনে দ্রুত আইনজীবী নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে শিশুদের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা হয়। এছাড়াও শিশুদের যে কোনো ধরনের আইনি সহায়তা ও পরামর্শের প্রয়োজন হলে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা লিগ্যাল এইড অফিস সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা সমাজের অসহায়, ন্যায় বিচারের সুফল থেকে বঞ্চিত অসহায় ও হত-দরিদ্র বিচার প্রার্থী জনগণের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।  

তিনি বলেন, গত ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ১২৭১টি প্রি-কেইস এডিআর এর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ৮৫২টি বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। প্রি-কেইস ও পোস্ট-কেইস বিরোধ মিমাংসার মাধ্যমে ১ কোটি ২০ লাখ  ৫৮ হাজার টাকা আদায় করে ক্ষতিগ্রন্থ পক্ষকে প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও এডিআর কার্যক্রমের আওতায় ৪৫ জন নারী ও ৫০ জন পুরুষ উপকারভোগী হয়েছেন। গত বছর ১৬০৬ জন অসহায় বিচার প্রার্থীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় লিগ্যাল এইডের সহায়তায় পরিচালতি ৪৩৩টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।

জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, সরকারি খরচে অসহায় ও দরিদ্র বিচারপ্রার্থী জনগণের মামলা পরিচালনার জন্য জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি চট্টগ্রামের ৮৭ জনের একটি আইনজীবী প্যানেল রয়েছে। এটি শীঘ্রই ১২০ জনে উন্নীত করা হবে। বিজ্ঞ প্যানেল আইনজীবীগণ চট্টগ্রামের আদালত সমূহে অসহায় দরিদ্র বিচারপ্রার্থীর মামলা সমূহ আন্তরিকতার সঙ্গে পরিচালনা করেন। দেশের বিচার অঙ্গনের জন্য এটি নজিরবিহীন ব্যাপার।  

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর