২৩ আগস্ট, ২০২৪ ০২:১২

চট্টগ্রামে হালদার বাঁধ ভেঙে ঢুকছে পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে হালদার বাঁধ ভেঙে ঢুকছে পানি

হালদা নদীর বেড়িবাঁধে বুধবার অন্তত ১৬ জায়গায় ভাঙন দেখা গেছে। ফাইল ছবি

প্রবল পানির স্রোতে চট্টগ্রামের হালদা নদীর নাজিরহাট এলাকার বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে হাটহাজারী ও ফটিকছড়ির বিভিন্ন ইউনিয়নে। এরইমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সীতাকুণ্ড, মীরসরাই, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী উপজেলা উপকূলীয় উপজেলা বাঁশখালী, কর্ণফুলীর অধিকাংশ এলাকা। এসব ইউনিয়নে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে পানির স্রোতে নিখোঁজ রয়েছে তিনজন। দুইজন ফটিকছড়ির ও একজন রাঙ্গুনিয়ার।

জেলা প্রশাসন জানায়, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই এবং ফটিকছড়ি উপজেলার ২০ হাজার ১৭৫ পরিবার দুর্যোগ কবলিত। এসব পরিবারের প্রায় ৯৫ হাজার ৯০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ফটিকছড়ি উপজেলায় সর্বমোট ১৩টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ায় ৩১৭৫ পরিবার পানিবন্দি এবং প্রায় ১৫ হাজার ৯০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মিরসরাই উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নে ১২ হাজার পানিবন্দি পরিবারের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত এবং সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৬টি উপদ্রুত ইউনিয়নে ৫ হাজার পরিবারের প্রায় ২০ হাজার জন পানিবন্দি আছে। বাঁশখালী উপজেলার ৮ ইউনিয়নের অনেক গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকায় পানিবন্দি আছে ১ হাজার ৭৫০ পরিবারের ৮ হাজার ৭৫০ জন মানুষ।

হাটহাজারী উপজেলায় বন্যায় প্লাবিত হয়েছে বুড়িশ্চর, শিকারপুর, গড়দোয়ারা, দক্ষিণ মাদার্শা, উত্তর মাদার্শা, মেখল, পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ড, নাঙ্গলমোড়া, ছিপাতলী। হালদা নদীতে পাহাড়ি ঢল বাড়ায় নদীর উপচে পড়ে তীরবর্তী এলাকার বাড়িঘর পানিতে ডুবে রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পানি এসব এলাকায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। বিশেষ করে ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৪, ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে ফটিকছড়ির পূর্ব ভূজপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ড়ে কবিরে পাড়ায় বন্যার পানিতে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে নজির আহমদ নামের একজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় তার ছেলে বৈদ্যুতিক খুঁটিকে জড়িয়ে ধরে প্রাণে বাঁচে। পরে এলাকাবাসীরা তাকে পানি থেকে উদ্ধার করে। সে জানিয়েছে তার বাবা পানিতে আছে। এ খবরে এলাকাবাসীরা নজির আহমদকে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পায়নি।

অপরদিকে দাঁতমারার শান্তিরহাটের সাদি নগরে বন্ধুদের সাথে পানিতে খেলতে গিয়ে সামি (১২) নামের শিশুটি ভেসে যায়। সে স্থানীয় মুহাম্মদ আব্দুল হামিদের ছেলে।

এছাড়াও রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের ফুলবাগিচা গাবতল এলাকায় বন্ধুদের সাথে বন্যার পানি দেখতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে গেছে মো. রনি (১৭) নামে এক কিশোর। রনি স্থানীয় আবু বক্করের ছেলে এবং পেশায় একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর