৩০ আগস্ট, ২০২৪ ০৩:৪৪

চট্টগ্রামে দুই সাবেক মন্ত্রী, মেয়রসহ প্রায় ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে দুই সাবেক মন্ত্রী, মেয়রসহ প্রায় ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মুরাদপুরে নিহত ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী মো. ফারুক হত্যার ঘটনায় মামলা করেছে তার বাবা মো. দুলাল। মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ২৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার রাতে পাঁচলাইশ থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-রাউজানের সাবেক এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক সুমন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, যুবলীগের সহসভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল আলম নোবেল, সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, এসরারুল হক, জহর লাল হাজারি, পুলক খাস্তগীর, আবদুস সালাম মাসুম, নুর মোস্তফা টিনু, শহিদুল আলম শহিদ, সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলামের ছেলে মুজিবুর রহমান, আরশেদুল আলম বাচ্চু, নুরুল আজিম রনি।

নিহত দোকান কর্মচারী মো. ফারুকের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের সৈয়দপুর গ্রামে। বিয়ের পর থেকে তিনি কুমিল্লার চান্দিনার বাতাঘাসি ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। চট্টগ্রামে ফার্নিচার দোকানে কাজ করে সচল রেখেছিলেন সংসারের চাকা। ওইদিন বিকেল ৩টার দিকে দোকান থেকে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে ভাত খাওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন তিনি। পথে আন্দোলনকারী, পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

পাঁচলাইশ মডেল থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, গত ১৬ আগস্ট মুরাদপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে দোকান কর্মচারী ফারুক নিহতের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে ২৬৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর