১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৬:৫৩

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজির হাট সেন্ট্রাল পার্ক হসপিটালে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় মুন্নী আকতার (৩০) নামে এক প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। রবিবার সকালে নগরের মা ও শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। গৃহবধূ মুন্নী আকতার ফটিকছড়ি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের জামাল বেপারি বাড়ির মৃত মোহাম্মদ ফোরকানের স্ত্রী। কিছুদিন আগে তার স্বামী অসুস্থ হয়ে মারা যান। তার দুটি কন্যা সন্তান আছে। এ ঘটনায় সিভিল সার্জন কার্যালয় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিকে আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।    

জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট রাতে গৃহবধূ মুন্নী আকতারের প্রসব বেদনা উঠলে তাকে ফটিকছড়ি নাজিরহাটের সেন্ট্রাল পার্ক হসপিটালে নেওয়া হয়। ওই রাতেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুত্রসন্তানের মা হন তিনি। পরবর্তী সময়ে তাকে গুরুতর অসুস্থ দাবি করে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক)  হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে দুদিন চিকিৎসার পর মুন্নি আকতারের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে পরিবারের লোকজন সেন্ট্রাল পার্ক হসপিটাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তোলে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর একদল বিক্ষুব্ধ জনতা সেন্ট্রাল পার্ক হাসপাতালে হামলা চালায়। এ সময় হাসপাতালের কাচ, আসবাবপত্র এবং দরজা-জানালা ভাঙচুর করা হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হাসপাতালের চিকিৎসক এবং কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) এবং থানা পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে গতকাল সকালে মুন্নি আকতার চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মুন্নী আকতারের ভুল চিকিৎসার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে চার সদস্যবিশিষ্ট এক তদন্ত কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। তদন্ত কমিটির সভাপতি হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরেফিন আজিম, সদস্য সচিব ডা. মনীষ সাহা রায় এবং সদস্য ডা. শামীমা আক্তার ও ডা. রানা দে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঘটনার সত্যতা উদঘাটনের জন্য ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অবশ্যই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনা উন্মোচন করা হবে।

তদন্ত কমিটির সভাপতি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. আরেফিন আজিম বলেন, তদন্ত কমিটি তদন্তপূর্বক ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। কিন্তু হাসপাতালটির সংশ্লিষ্ট সবাই পলাতক রয়েছে। এ অবস্থায় নিহত গৃহবধূর জানাজা শেষে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আমরা তদন্ত এগিয়ে নেব।

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর