১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২১:২৫

হাছান মাহমুদ-নওফেলসহ ১১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

হাছান মাহমুদ-নওফেলসহ ১১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

হাছান মাহমুদ ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ১১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। একই মামলায় অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালতে এই মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে আহত মো. ফরহাদ নামের এক যুবক।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক সংসদ সদস্য আবদুচ সালাম, এম এ লতিফ, ফজলে করিম চৌধুরী ও নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান, স্বাস্থ্যবিষয় সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ, চান্দগাঁও ওয়ার্ডের এসরারুল হক, আশরাফুল আলম, হারুনুর রশিদ, ওয়াসিম উদ্দীন, জিয়াউল হক সুমন ও মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি  প্রমুখ।

বাদীর আইনজীবী চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আশরাফ হোসেন বলেন, আদালত শুনানি শেষে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি তদন্ত করে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার হিসেবে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন বাদী মো. ফরহাদ। নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট মোড়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মামলার আসামিদের নির্দেশে, পরিকল্পনায় ও অর্থায়নে আসামিগণের নেতৃত্বে বেআইনী জনতাবন্ধে মারাত্মক অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতার মিছিলে লক্ষ্য করে দূর থেকে মুহুমুহু গুলি, হাতবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ করতে থাকে। আন্দলনের রক্ত ছাত্র জনতা আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটাছুটি করতে থাকলে আসামিগণ নগরের বহদ্দারহাট জড়ো হয়ে বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ পয়েন্টে দখল করে রাখেন। সকল আসামিগণ ঘটনাস্থলে ছাত্র জনতার প্রাণ নাশের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নসহ এলাকার সাধারণ ছাত্র জনতার জান মানের ক্ষতি করে ত্রাস সৃষ্টি করে। 

আসামিগণ ছাত্র-জনতাকারী লক্ষ্য করে দূর থেকে বৃষ্টির মতো পুনরায় গুলি ছুড়তে থাকে এবং ককটেল ও হাত বোমা নিক্ষেপ করে ত্রাসের সৃষ্টি করে। পরে বহদ্দরহাট মোড় হইতে প্রাণ বাঁচানোর লক্ষ্যে বহদ্দারহাট কাঁচা বাজারের দিকে দৌড় দিলে আসামিদের অবৈধ অস্ত্রের ছোরা গুলিতে আমি বাদী বহদ্দারহাট গোল চত্বরে গুলিবিদ্ধ হই। আমি বাদী গুলি বৃদ্ধ হওয়ার পরে আমাকে কিছু শিক্ষার্থীরা সাধারণ জনতা চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর