চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা এ পদে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের নিয়োগ না দেওয়ারও দাবি জানান। দাবি মেনে না নিলে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করা ও রাস্তা অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে এ আল্টিমেটাম দেন তারা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সকাল সাড়ে ১০টায় জরুরি সভা ডাকেন সিভাসু’র দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামাল। উপাচার্যের সভাপতিত্বে সভায় অনুষদীয় ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ), প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান পরিস্থিতি এবং ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠতম অধ্যাপকদের মধ্য থেকেই নতুন উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করা হয়। এ বিষয়ে সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবে বলে সভায় শিক্ষকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জানা যায়, গত ৫দিন ধরে নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সিভাসুর শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার রাতে মশাল মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এরআগে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর উপাচার্য নিয়োগের আবেদন জানিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। একই দাবি নিয়ে শনিবারও শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। আর তাদের এই এই আন্দোলনে সিভাসুর অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সমর্থন জানিয়ে আসছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের স্নাতকের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, আমাদের সুস্পষ্ট কথা- আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দালালির সাথে যুক্ত কেউ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক (ভিসি) হয়ে আসতে পারবে না। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রতিদিন নানাভাবে নানা জায়গায় আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসবে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ২৯ বছর, যেটা বাংলাদেশের একমাত্র ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, সেখানে কীভাবে বাইরে থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া যায়? আমাদের ইন্টার্নি প্রোগ্রাম বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে, আমাদের প্রবলেম বেইজড লার্নিংগুলো, শিক্ষকদের উদ্ভাবনীগুলো অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে; সেখানে বাইরের অপশক্তি আমাদের ওপর প্রভাব খাটাতে চায়।
বিডি প্রতিদিন/এএম