২৮ জুন, ২০২১ ১২:৩২

গণপরিবহন বন্ধ, পথে পথে ভোগান্তি, রিকশা-সিএনজির ভাড়া দ্বিগুণ-তিনগুণ

অনলাইন প্রতিবেদক

গণপরিবহন বন্ধ, পথে পথে ভোগান্তি, রিকশা-সিএনজির ভাড়া দ্বিগুণ-তিনগুণ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে দেশজুড়ে সীমিত পরিসরে ‘লকডাউন’ শুরু হয়েছে। তবে গণপরিবহণ বন্ধ রেখে চালু রাখা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। এতেই বিপত্তি ঘটেছে। সকাল থেকে রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি পাননি অফিসগামীরা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। 

সকাল ৭টার পর থেকে রাজধানীর সড়কগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। মোড়ে মোড়ে হাজার হাজার অফিসগামীদের নিরিহভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেককে উপায় না পেয়ে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। এদিকে বাস না থাকার সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা-উবার-মোটরসাইকেল চালকরা। স্বল্প দূরত্বে ভাড়া হাকাচ্ছেন দ্বিগুণ-তিনগুণ। বাধ্য হয়েই অনেক যাত্রী ১০০ টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন। তাও আবার এক সিএনজিতে চারজন বসে গাদাগাদি করে।

এদিকে গণপরিবহণের সংকটে সড়কে দাপট দেখাচ্ছে রিকশা। সুযোগ পেয়ে কয়েকগুণ ভাড়া হাঁকছেন তারা। পকেট কাটা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। গাড়ি না পেয়ে অনেকে বাড়তি ভাড়া দিয়েই গন্তব্যের দিকে রওনা হয়েছেন। 

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবি অন্তরা কবির বলেন, সকালে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশে রাস্তায় নেমেই হতভম্ব হই। শুধু মানুষ আর মানুষ। কোনো বাস নেই। কোনো সিএনজি বা রিকশা দেখলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন সবাই। রামপুরা ব্রিজ থেকে কিছুটা হেঁটে মেরুল বাড্ডা থেকে শাহজাদপুর পর্যন্ত রিকশায় এসেছি। ৫০ টাকার ভাড়া দিতে হল ১০০ টাকা। 

অফিসের উদ্দেশে সকাল ৮টায় বের হয়ে শ্যামলি স্কয়ারের সামনে ২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো সিএনজি-মোটরসাইকেল পাননি ওয়াসিফ করিম। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জনসাধারণের চলাচলের জন্য কোনো বাস চোখে পড়েনি, সিএনজিও নেই। রাস্তার দু'পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অফিসগামী অপেক্ষমান মানুষগুলো অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আছে। স্বল্প দূরত্বের ভাড়া দ্বিগুন চাচ্ছেন রিকশাচালকরা। 

এদিকে গাড়ি না পেয়ে কেউ কেউ পিকআপে উঠেও অফিসে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় এভাবেই রাজধানীতে অফিসগামী যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর