২২ আগস্ট, ২০২১ ০২:৫৬
৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

বরিশাল শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ডের ১০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার উধাও

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ডের ১০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার উধাও

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শেবাচিম)-এর করোনা ওয়ার্ড থেকে ১০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ৩০টি সিলিন্ডার মিটার উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনা তদন্তে গত সপ্তাহে একজন চিকিৎসককে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু গত ৭ দিনেও বিভিন্ন ওয়ার্ডে সন্ধান চালিয়ে উধাও হওয়া কোনও সিলিন্ডার উদ্ধার করতে পারেননি তারা। এতদিন গোপন থাকলেও শনিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। 

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামানকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন আরেক সহকারি পরিচালক ডা. মো. নাজমুল হোসেন, ডা. মাহমুদ হোসেন, স্টোর অফিসার অনামিকা এবং সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার। 

মেডিকেলের স্টোর সূত্র জানায়, করোনা ওয়ার্ডের ওয়ার্ড মাস্টারদের মাধ্যমে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও সিলিন্ডার মিটার সরবরাহ করা হয়। কোন ওয়ার্ডে কতটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও সিলিন্ডার মিটার নেয়া হয়েছে তার তালিকা করা হয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ী বিভিন্ন ওয়ার্ড তল্লাশী করে অন্তত ১০০ সিলিন্ডার ও ৩০টি সিলিন্ডার মিটারের হসিদ পাওয়া যায়নি। নন-কোভিড ওয়ার্ডেও সেগুলোর খোঁজ মেলেনি। বিষয়টি পরিচালককে অবহিত করা হলে তিনি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। 

তদন্ত কমিটির সদস্য সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার বলেন, স্টোর থেকে পরিচালককে অবহিত করা হয় সিলিন্ডার ও মিটার পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গত সপ্তাহে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও মিটারের সন্ধান চালানো হচ্ছে। কিন্তু গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উধাও হওয়া সিলিন্ডার ও মিটারের সন্ধান মেলেনি। এ জন্য একজনকে কারন দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও মিটার উধাও হওয়ার খবর পেয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর অবহেলার জন্য দায়ী সংশ্লিস্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

সরকারিভাবে সরবরাহ করা এবং বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুদান পাওয়া সিলিন্ডার সহ শের-ই বাংলা মেডিকেলে ৬২৮টি অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পরিচালক।

 

বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর