শিরোনাম
৪ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:২১

বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও শহীদদের স্বীকৃতি দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও শহীদদের স্বীকৃতি দাবি

আলোচনা সভা।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ৩ এপ্রিল রংপুরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ১০ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ক্যান্টনমেন্ট থেকে ভ্যানে করে রংপুর-মাহিগঞ্জ সড়কের দখিগঞ্জ শ্মশানে ১১ জন স্বাধীনতাকামী মানুষকে চোখ ও হাত বেঁধে এনেছিল। সেদিন মধ্যরাতে তাদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করেছিল পাকিস্তানী হায়েনারা।

ওই ১১ জনের মধ্যে অলৌকিতভাবে প্রাণে বেঁচে যান দীনেশ চন্দ্র ভৌমিক ওরফে মন্টু ডাক্তার। সেদিন পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে যারা শহীদ হয়েছিলেন তারা হলেন-ন্যাপের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়াই এ মাহফুজ আলী জররেজ, দুর্গাদাস অধিকারী, ক্ষীতিশ হালদার, এহসানুল হক দুলাল, রফিকুল ইসলাম রফিক, শান্তি চাকী, গোপাল চন্দ্র, তোফাজ্জল হোসেন মহরম, উত্তম কুমার অধিকারী গোপাল ও পাগলা দরবেশ। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর রংপুরে প্রথম গণহত্যার ঘটনা।

রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত দখিগঞ্জ বধ্যভূমিসহ সকল বধ্যভূমি সংরক্ষণসহ শহীদদের স্বীকৃতি ও পরিবারের সদস্যদের যথাযথ মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছে দখিগঞ্জ শ্মশান বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ। সোমবার দুপুরে দখিগঞ্জ বধ্যভূমি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ দাবি জানান রংপুরের বিশিষ্টজনরা।

দখিগঞ্জ শ্মশান বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক সুশান্ত ভৌমিকের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোজাহার আলী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি শিক্ষাবিদ বনমালী পাল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা রামকৃষ্ণ স্বোমানী, সংগঠক ডা. মফিজুল ইসলাম মান্টু, দখিগঞ্জ শ্মশান বধ্যভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেবদাস ঘোষ দেবু ও কোষাধ্যক্ষ পলাশ কান্তি নাগ প্রমুখ।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর