১৭ এপ্রিল, ২০২২ ১২:১৭

ঈদের কেনাকাটায় ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে বৈশাখি মেলা

অনলাইন ডেস্ক

ঈদের কেনাকাটায় ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে বৈশাখি মেলা

রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে চলছে বৈশাখী মেলা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের নানা পণ্যের পসরা নিয়ে মেলা চলবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৪২৯ বাংলা বর্ষের পয়লা বৈশাখ শুরু হওয়া মেলার আয়োজক বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এবং বাংলা একাডেমি। এ বছর মেলার সহযোগী হয়েছে দেশের এসএমই পণ্যের সবচেয়ে বড় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ঐক্য.কম.বিডি।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের নানারকম পণ্য নিয়ে বাংলা ১৩৮৫ সাল থেকে বৈশাখী মেলার আয়োজন করে আসছে বিসিক এবং বাংলা একাডেমি। এর অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন পটুয়া কামরুল হাসান। এবারের বৈশাখী মেলার অন্যতম দিক ঈদ বাজার। রমজার মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হওয়া মেলায় পোশাক এবং গৃহসজ্জাসহ নানারকম যে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে তা ঈদ বাজারের চাহিদাও পূরণ করবে বলে উদ্যোক্তারা আশা করছেন। 

করোনা পরিস্থিতির কারণে দুই বছর মেলা না হওয়ায় এবারের মেলা মানুষকে আরও বেশি আকর্ষণ করছে। দর্শনার্থীরা যেমন ছুটির আমেজে মেলা উপভোগ করছেন, তেমনি প্রয়োজনীয় এবং শৌখিন নানা পণ্য কিনতে পারছেন। দৃষ্টিনন্দন হাতের কাজের নানা পণ্যের প্রশংসা তাই ক্রেতাদের মুখে মুখে। মেলায় তাঁত ও জামদানি শাড়ি, থ্রি-পিস ও মাটির গহনা ছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে নকশি কাঁথা, চাদর, কুশন, শতরঞ্জি, কাঁসা ও পিতলের বাসন, বাঁশের তৈরি ডালা, চালুন, হাতে তৈরি বিভিন্ন গহনা, একতারা, দোতরা, ঘঞ্জনি, ডুগডুগিসহ হরেকরকম জিনিসপত্র। 

ঐক্য.কম.বিডি নিবেদিত ‘বিসিক বৈশাখী মেলা ১৪২৯’ পাওয়ার্ড বাই ইন্ডিক্যাফে গ্লোবাল উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিক চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।

ঐক্য.কম.বিডি’র প্রধান নির্বাহী অপু মাহফুজের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি চ্যানেল আইয়ে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং ‘সুরের ধারা’ পরিবেশন করে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘বৈশাখের প্রাণ যে গান’।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন: বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য বৈশাখী মেলা। এ মেলার মাধ্যমে বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম যেমন আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে আরও বেশি পরিচিত হবে, তেমনি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং রুচিশীল ক্রেতাদের মধ্যে তা সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।

তিনি আরও বলেন, এমন মেলার মাধ্যমে কুটির শিল্পকে সরকার গ্রাম থেকে নগর পর্যন্ত ব্যাপ্তি ঘটিয়েছে। ঈদের আগে এবারের বৈশাখী মেলা ঈদের কেনাকাটায় নতুন মাত্রাও যোগ করেছে। 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তাদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তারা হাজার কোটি টাকা ঋণও নেন না, হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপিও হন না। সামান্য পুঁজিকে পুঁজি করেই তারা ব্যবসা পরিচালনা করেন।  

বক্তারা বলেন, এ ধরনের আয়োজন উদ্যোক্তাদের কাজের গতি আরো বাড়িয়ে দেবে। ঈদের কেনাকাটায় ভিন্ন মাত্রা দেওয়া এবারের মেলা জাতীয় ও অর্থনৈতিক উন্নয়নেও অবদান রাখবে। নিজেদের উৎপাদিত পণ্য শুধু দেশে নয়, বিশ্ব দরবারেও ছড়িয়ে দিতে চান উদ্যোক্তারা।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর