সাভারে ও আশুলিয়ার বাস কাউন্টারগুলোতে আজ দুপুরের পর থেকেই ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। তবে পরিবহন খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মহাসড়কে ও ফেরিঘাটে যানজটের কারণে অনেকেই এ বছর ভেঙে ভেঙে বাড়ি যাচ্ছেন। ফলে গত ২ বছরের তুলনায় এবার বাসের যাত্রী তুলনামূলক কম। 

শনিবার বিকালে সাভার আশুলিয়ার বাস কাউন্টারে সরেজমিনে দেখা যায়, বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা।

সরকারি চাকরিজীবী ফারজানা সপরিবারে খুলনায় ঈদ করতে যাচ্ছেন। দুপুর ২টায় তাকে গাবতলী কাউন্টারে বসে থাকতে দেখা যায়। তার গাড়ি ছাড়ার করা কথা ছিল সকাল ৫টা ১৫ মিনিটে।

ফারজানা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‌‘করোনার কারণে গেল ২ ঈদে বাড়ি যেতে পারিনি। আশা করছি যথাসময়ে বাসায় যেতে পারব।’

৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জারির আহমেদ বলেন, দাদু বাড়ি ও নানু বাড়ি ঈদ করতে যাচ্ছি। এবার ঈদে অনেক মজা হবে।

বেসরকারি চাকরিজীবী নাইমুর রহমান দুর্জয় বলেন, মা বাবার সঙ্গে কুষ্টিয়ার ঈদ করতে যাচ্ছি। টিকিটের মূল্য ১,০০০-১,১৫০ টাকা বেশি নিয়েছে। যেতে একটু কষ্ট হবে। তবে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করব, এটাই আনন্দ।

দুই বছরের শিশু আয়াজ করোনার পর এই প্রথম ঈদ করতে নানুর বাড়িতে যাচ্ছে। নাজমীন নামের একজন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বগুড়ায় নানুর বাড়ী ঈদ করতে যাচ্ছি। মা-বাবা সঙ্গে আছেন।’

হানিফ পরিবহনের কর্মকর্তা আরিফ হোসেন বলেন, ‘যাত্রী কিছুটা কম। ফেরিঘাটে জ্যাম। এ কারণে অনেকে ভেঙে ভেঙে যাচ্ছেন। কিন্তু যাত্রী অনেক বেশি।

হানিফ এন্টারপ্রাইজের কাউন্টার মাস্টার মো. রানা বলেন, ‘আগে অতিরিক্ত গাড়ি ছাড়তাম। জ্যামের কারণে অনেক যাত্রী ভেঙে ভেঙে যাচ্ছেন।
করোনা সময়ের চেয়েও এ বছর যাত্রী কম। মানুষ বিভিন্ন পথে ভেঙে ভেঙে যাচ্ছেন। ঘোড়াশাল-কালিগঞ্জ ও টাঙ্গাইল-মির্জাপুর রুটে কিছুটা যানজট আছে। 

ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) আব্দুস সালাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সাভারের সড়ক মহাসড়কগুলোতে  পরিবহনের চাপ নেই। তবে দুপুরের পর চাপ বাড়ছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমাতে পুলিশ কাজ করছে। আইন মেনে গাড়ি চালানোর জন্য চালকদের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ