নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দুইজন কাউন্সিলরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৫ জুন) দু'টি পৃথক মামলায় তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। দুই কাউন্সিলর হলেন ১৩নং ওয়ার্ডের মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও ২৩ নং ওয়ার্ডের আবুল কাউসার আশা।
বুধবার (১৫ জুন) জেলা ও দায়রা জজ মশিউর রহমানের আদালতে বন্দর থানার একটি মামলায় আশাকে ও নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে আরেকটি মামলায় খোরশেদকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। দু'জনেই দুটি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।
কাউন্সিলর খোরশেদ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও কাউন্সিলর আশা মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি।দু'জন কাউন্সিলরের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা। তারা জানান, এসব একাধিক মিথ্যা মামলায় কাউন্সিলদের জড়ানোর কাউন্সিলররা নাগরিক সেবা থেকে দিনের পর দিন বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদেরকে জামিন দেয়ার জন্য এবং এ ধরনের মামলায় ভবিষ্যতে যেন তাদের না জড়ানো হয় সেজন্য সবিনয় অনুরোধ করেছেন তারা।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান দুই কাউন্সিলরকে কারাগারে প্রেরণের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
দু'টি মামলায় শুনানির সময় আদালত প্রাঙ্গণে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাইন্সলদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শারমিন হাবিব বিন্নি, আফসানা আফরোজ বিভা শওয়ন অঙ্কন, মনিরুজ্জামান মনির, অসিত বরণ বিশ্বাস, আব্দুল করিম বাবু, কামরুল হাসান মুন্না, মো. শাহীন মিয়া, সুলতান আহম্মেদ ভুইয়া, আবুল কাউসার আশা ও আনোয়ার ইসলাম।
জামিন আবেদন বাতিলের পর খোরশেদ জানান, এসব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাগারে নিয়ে রাজপথের আন্দোলন থেকে আমাকে দূরে রাখা যাবে না। দ্রুতই আপনাদের মাঝে ফিরে আসবো। আবার দেখা হবে রাজপথে।
কাউন্সিলর আশা জানান, পুরোটাই ষড়যন্ত্র। আমাকে জড়ানো হয়েছে রাজনৈতিক কার্যক্রম ও নাগরিক সেবা থেকে দূরে রাখতে। ষড়যন্ত্র করে আমাকে আটকে রাখা যাবে না।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ