বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি এজেন্ট হিসেবে অনুপ্রবেশ করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেছেন, ‘গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে এর পরিষ্কার চিত্র ফুটে উঠেছিলো।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এবং এসএম কামাল হোসেন।
সভায় জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘প্রতিরাতে গুলির শব্দে আমরা আতঙ্কিত হয়ে উঠতাম। প্রতিদিন ক্যান্টনমেন্টে গুলির শব্দ। প্রায় ১২ শত সামরিক বাহিনীর কর্মকতাকে হত্যা করেছিল জিয়াউর রহমান। কারণ তার ক্ষমতার পথকে সহজ করতে হতো।’
তিনি মির্জা ফখরুলের প্রতি প্রশ্ন করেন, ‘‘হামলার নিন্দা না করার অর্থ কি এটাই নয় যে, আপনারা রাজনৈতিক দল হিসেবেই এ হামলাকে ‘এনডোর্স’ (অনুমোদন) করছেন?’’
সভায় আব্দুর রহমান বলেন, ‘২১ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু মৃত্যুকে তিনি পায়ের ভৃত্য বানিয়ে এগিয়ে চলছেন। ২০০৪ সালে তাকে মেরে ফেলার বন্দোবস্ত চূড়ান্ত হয়েছিল। আজও ঘুমের মধ্যে সেই হামলার ভয়াবহতা অনুভব করে বিহ্বল হয়ে যাই।’
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘২১ আগস্টের খুনীদের নিম্ন আদালতে বিচার হয়েছে, চূড়ান্ত বিচার এখনও হয়নি। বিচারের অপেক্ষায় আছে। আজকে বলতে চাই, আর কালক্ষেপণ নয়। অনতিবিলম্বে উচ্চ আদালতে সম্পূর্ণ রায়টি আমরা পেতে চাই। খুনিদের চূড়ান্ত রায়ের কার্যকরও দেখতে চাই।’
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল