৪ নভেম্বর, ২০২২ ২০:৪৬

মোমবাতি জ্বালিয়ে নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশীদের প্রতিবাদ

অনলাইন ডেস্ক

মোমবাতি জ্বালিয়ে নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশীদের প্রতিবাদ

মোমবাতি জ্বালিয়ে নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশীদের প্রতিবাদ

ছয় দফা দাবি নিয়ে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশীরা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ জানান তারা।

প্রতিবাদের অংশ হিসেবে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। এ ছাড়া জাতীয় সংগীত বাজানোর পাশাপাশি দুর্নীতিবিরোধী শপথও পাঠ করা হয়।

পিএসসি কার্যালয় বন্ধ থাকায় বিকাল ৫টা থেকে জাতীয় শহীদ মিনারে এ কর্মসূচি পালন শুরু হয়। এর আগে চাকরিপ্রত্যাশীরা দড়িতে মুলা ঝুলিয়ে এবং পিএসসির সামনে পরিষ্কার অভিযান চালিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।

গত ৩১ অক্টোবর পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন অফিস শেষ করে বের হলে আন্দোলনকারীরা তার গাড়ি অবরুদ্ধ করে শুয়ে পড়েন। পরে আন্দোলন সমন্বয়কদের সিদ্ধান্তে চেয়ারম্যানের গাড়ি বের হতে দেওয়া হয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ মুখে কালো কাপড় বেঁধে এবং হাতে জাতীয় পতাকা নিয়েও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির আজ ছয় দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত সরকারি কর্ম কমিশনের দায়িত্বশীল কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।

 প্রার্থীদের ছয় দফা দাবি

যেহেতু বিজ্ঞপ্তিতে ৪০-৪৩তম বিসিএস পর্যন্ত নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি, সেহেতু বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কর্তৃক বিজ্ঞপ্তির পর ৪০-৪৪তম বিসিএস পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারি নন-ক্যাডার পদ বিভাজনের মাধ্যমে পদসংখ্যা নির্ধারণের এই বেকারবিরুদ্ধ ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তির তারিখওয়ারি পদ বিভাজনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেখানে ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডারের পদ ৩৬, ৩৭ ও ৩৮তম বিসিএসকে প্রদান করা হয়েছে। সুতরাং তারিখওয়ারি পদ বিভাজনের এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ইতিহাসের দীর্ঘকালীন ৪০তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা প্রার্থীদের থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীকে নন-ক্যাডারে সুপারিশ করাতে হবে।

যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পিএসসি ২৯ মার্চ ২০২২ তারিখ পর্যন্ত ৩৪-৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ করেছে, সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বর্তমান উদ্ভূত সমস্যার সমাধান করতে হবে।

বাংলাদেশের শিক্ষিত ও মেধাবী ছাত্রসমাজকে পিএসসির মূল বক্তব্য আড়াল করে অর্থাৎ ‘যার যা প্রাপ্য তাকে তাই দেওয়া হবে’ এই ভিত্তিহীন কথা বলে যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে এবং বেকার সৃষ্টির এই অপপ্রয়াস অনতিবিলম্বে বন্ধ করে বেকারবান্ধব নীতি নবায়ন করতে হবে।

বিগত এক যুগে পিএসসি যে স্বপ্ন, নির্ভরযোগ্য ও বেকারবান্ধব প্রতিষ্ঠান ছিল সেই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর