বগুড়ার শেরপুরে মানবদেহের চোরাকারবারি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এসময় তাদের কাছ থেকে চারটি স্কুল ব্যাগভর্তি ৪৪০টি মানবদেহের হাড় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধাকৃত হাড়ের মধ্যে মাথার খুলিও ছিল।
বুধবার (০১ মার্চ) সকাল নয়টায় শেরপুরের ভবানীপুর ইউনিয়নের ঘোগা বটতলা এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালিয়ে কঙ্কালসহ ওই দুই চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার গামারিয়া গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে রাশেদ মিয়া (২৪) ও একই জেলা-উপজেলার পশ্চিম গামারিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে বেলাল হোসেন (২৮)।
জানা যায়, গ্রেফতারকৃতরা লাশের বিভিন্ন হাড়ের চোরাকারবারি চক্রের সক্রিয় সদস্য। এরা বিভিন্ন কবরস্থান থেকে মানবদেহের কঙ্কাল চুরি করে বিক্রি করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় কঙ্কালগুলোর বিভিন্ন অংশ চারটি স্কুলের ব্যাগে ভরে পাচারের উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিল। এমন সংবাদ পেয়ে বগুড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা উপজেলার ঘোগা বটতলা নামক স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালায়। এক পর্যায়ে ঢাকাগামী একটি বাস আটকে তল্লাশিকালে ব্যাগভর্তি কঙ্কালসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদর শেরপুর থানায় সোপর্দ করার পাশাপাশি মামলা দায়ের করা হয়।শেরপুর থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুইজনই মানবদেহের কঙ্কাল চুরি ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এরমধ্যে রাশেদের শ্বশুরবাড়ি শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের বনমরিচা গ্রামে। সে কারণে তার সহযোগী বেলালকে সঙ্গে মঙ্গলবার বিকেলে শ্বশুরবাড়িতে আসে। সেখানে রাত্রীযাপন করে পরদিন বুধবার ভোরে জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলায় গিয়ে কঙ্কালগুলো সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিল।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকালে তাদের কাছে চারটি ব্যাগ ছিল। সেসব ব্যাগে মাথার খুলি, পা, হাতের ও কোমড়ের হাড়সহ মানবদেহের ৪৪০টি হাড় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। এজন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ