২৩ জুন, ২০২৩ ১১:০০

সেফহোমে ঠাঁই হলো মানসিক ভারসাম্যহীন সেই সাঁওতাল নারীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেফহোমে ঠাঁই হলো মানসিক ভারসাম্যহীন সেই সাঁওতাল নারীর

ছবি- বাংলাদেশ প্রতিদিন।

রাজশাহী রাজশাহীর পবা উপজেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন সাঁওতাল নারীর ঠাঁই হয়েছে বায়া সেফহোমে। পবা উপজেলার তকিপুর এলাকার উত্তরা কোল্ড স্টোরেজের সামনে খোলা আকাশের নিচে গত একমাস ধরে এই সাঁওতাল নারী বাস করছিলেন। অবশেষে মানসিক ভারসাম্যহীন এই সাঁওতাল নারীর দায়িত্ব নিয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। 

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের নির্দেশনায় তাকে বায়া সেফহোমে পাঠানো হয়েছে। এসময় সেফহোমে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার, আরএমপি'র এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এমরান হোসেন।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, পবার এসিল্যান্ড অভিজিত সরকারের মাধ্যমে মানসিক ভারসাম্যহীন সাঁওতাল নারীর বিষয়ে জানতে পারি। আমি তৎক্ষণিক এডিসি কল্যাণ চৌধুরীকে ঘটনাস্থলে পাঠাই এবং ওই নারীকে বায়া সেফহোমে পাঠানোর নির্দেশনা প্রদান করি। 

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং তার আত্মীয়স্বজনের পরিচয় জানার চেষ্টা করি। আত্মীয়স্বজনের খোঁজখবর না পেয়ে তাকে আরএমপি'র এয়ারপোর্ট থানায় জিডি করে সেফহোমে রাখা হয়েছে। এছাড়াও আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসিত করা হবে।

পবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার জানান, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ওই সাঁওতাল নারীকে দৃষ্টিগোচর হলে আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানাই। দ্রুত সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাকে বায়া সেফহোমে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

উত্তরা কোল্ড স্টোরেজের নাইট গার্ড রিপোন জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই সাঁওতাল নারীকে প্রতিদিন আমি ও এলাকাবাসী এখানে খাওয়াতাম। গত একমাস থেকে তিনি রোদ-বৃষ্টি মাথায় করে এই ফাঁকা জায়গায় আছেন। আমরা অনেক চেষ্টা করেও তাকে অন্য নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছি। জেনে অনেক ভালো লাগছে পবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার স্যারের প্রচেষ্টায় সেফ হোমে ঠাঁয় হয়েছে তার। এখন থেকে আর তাকে রোদ-বৃষ্টিতে কষ্ট করে থাকতে হবে না।

পবার তকিপুর এলাকার বাসিন্দা সোলায়মান হোসেন জানান, আমরা অনেক চেষ্টা করেও এই সাঁওতাল নারীর আত্নীয় স্বজনের কোন খোঁজখবর পায়নি। আমার বউ, ছেলে-মেয়ে এই সাঁওতাল নারীকে খাবার খাওয়াতো এবং বৃষ্টিতে ভিজে গেলে শুকনো কাপড় দিতো।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর