২০ আগস্ট, ২০২৩ ১৩:৩১

আইডিয়ালের সেই ছাত্রীকে বাবার জিম্মায় দিতে হাইকোর্টে রিট

অনলাইন ডেস্ক

আইডিয়ালের সেই ছাত্রীকে বাবার জিম্মায় দিতে হাইকোর্টে রিট

গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে বিয়ে করা রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী সিনথিয়াকে তার বাবার জিম্মায় দিতে হাইকোর্টের রিট করা হয়েছে।

আজ রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিস্ট শাখায় এ রিটটি করেন মেয়ের বাবা। বিচারপতি কামরুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান এবং বিচারপতি খন্দকার দীলিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খন্দকার মুশতাক আহমেদের আগাম জামিন আবেদন শুনতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।

শুনানিতে হাইকোর্ট মুশতাককে ডেকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি বিবাহিত? উত্তরে মুশতাক বলেন, হ্যাঁ, তবে সেই সংসার অনেক আগেই ভেঙে গেছে। আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, ছাত্রীকে বিয়ে করে নৈতিকতা ভেঙেছেন আপনি।

গত ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে খন্দকার মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়। এ মামলায় আইডিয়ালের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকেও আসামি করা হয়। ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন। 

মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে (ভুক্তভোগী) মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ওই ছাত্রীকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে আনতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে আসামি তাকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ওই ছাত্রীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করেন। পরে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন। মুশতাকের এ ধরনের আচরণের বিষয়ে আইডিয়াল অধ্যক্ষকে (২ নম্বর আসামি) ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন ভুক্তভোগী। তবে তিনি (অধ্যক্ষ) ব্যবস্থা করছি বলে আসামি মুশতাককে তার রুমে নিয়ে আসেন। সেসময় ভুক্তভোগীকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে মুশতাককে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন। 

এ বিষয়ে বাদী কলেজের অধ্যক্ষের কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি। বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক কাজে সাহায্য করে আসতে থাকেন। বাদী উপায় না পেয়ে গত ১২ জুন তার মেয়েকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে আসামি মুশতাক তার লোকজন দিয়ে তার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর বাদী জানতে পারেন মুশতাক ভুক্তভোগীকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছেন এবং যৌন নিপীড়ন করেছেন।

পরে গত ১৪ আগস্ট বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ মামলায় আগাম জামিন চান মতিঝিল আইডিয়ালের অধ্যক্ষ ফৌজিয়া রশিদ। ওইদিনই শুনানি শেষে তাকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন আদালত।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর