রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী প্রস্রাব করে এসেছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে। রবিবার রাত ৮টা ১৮ মিনিটে রাসিকের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরাজিত ওই প্রার্থীর নাম জহিরুল ইসলাম রুবেল। বিষয়টি ধরা পড়েছে কাউন্সিলর কার্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজে।

রুবেলের নামে থানায় একাধিক মামলা আছে। ১১ হাজার পিস ইয়াবা ও অস্ত্রসহ এর আগে ধরা পড়েছিলেন। তিনি বেশ কয়েক মাস জেল হাজতেও ছিলেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাও আছে। পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে গত সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে অংশ নেন। তবে বর্তমান কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতির কাছে পরাজিত হন রুবেল।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, রবিবার রাত ৮টা ১৮ মিনিটে রুবেল তার ব্যবহৃত লাল রঙের প্রাইভেটকার নিয়ে এসে কাউন্সিলরের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে থামেন। এরপর গাড়ি থেকে নেমে কাউন্সিলরের কার্যালয়ের প্রধান ফটক ঘেঁষে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে থাকেন। ওই সময় কাউন্সিলরের কার্যালয়ের ফটক দিয়ে শিশু কোলে এক নারীসহ কয়েকজন ব্যক্তি বের হয়ে আসছিলেন। কিন্তু তার পরেও নিজেকে সংবরণ করেননি রুবেল। ফটকের সিঁড়িতে দাঁড়িয়েই সবার সামনেই প্রস্রাব করতে থাকেন রুবেল। প্রস্রাব শেষ করে পরে ওই গাড়িতে করেই চলে যান রুবেল।

কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি বলেন, ‘রুবেল দুইবার আমার সঙ্গে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছে। এলাকায় সে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এবং মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত। সে রাতে আমার অফিসের গেটে এসে প্রস্রাব করেছে। যেহেতু এটা সিটি করপোরেশনের অফিস, আমি আগে এটা করপোরেশনকেই অবহিত করেছি। এটা নিয়ে আমি থানায় অভিযোগ করব।’

সোমবার কয়েক দফা রুবেলকে ফোন করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি। তাই এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিডি প্রতিদিন/এমআই