শিরোনাম
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৬:৩৫

কাউনিয়ায় তিস্তা, বদরগঞ্জে যমুনেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

কাউনিয়ায় তিস্তা, বদরগঞ্জে যমুনেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে

টানা বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া বদরগঞ্জের যমুনেশ্বরী ও দিনাজপুরের পুনর্ভবা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাউনিয়ায় তিস্তা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যার পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য মতে, সোমবার সকাল পর্যন্ত রংপুর অঞ্চলের তিন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদী কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার, বদরগঞ্জের যমুনেশ্বরী ১৪ সেন্টিমিটার এবং দিনাজপুরের পুনর্ভবা নদী বিপৎসীমার এক সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, আপার করতোয়া, আপার আত্রাই, কুলিখ, টাঙ্গন, যমুনেশ্বরী এবং পুনর্ভবা নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় হ্রাস পেতে পারে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মহানন্দা, ছোট যমুনা, করতোয়া ও আত্রাই নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় স্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে।

এদিকে, কাউনিয়া উপজেলায় তিস্তা নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কাউনিয়ায় প্রতিদিন ফসলি জমি ও বসত ভিটা গিলে খাচ্ছে নদী। ফলে ফসলি জমি হারা মানুষের কান্না বাড়ছে। উপজেলার গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের অর্ধেক ফসলি জমি ও বেশ কিছু বসতভিটা ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তিস্তা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

জমি বিলীন হয়ে যাওয়া রানা মিয়া, রবিউল, রাজ্জাকসহ বেশ কয়েকজন বলেন, ভাঙন দেখতে অনেকেই এসে আশ্বাস দিয়ে যান। কিন্তু ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে প্রতি বছরই কাউনিয়ায় আবাদি ও বসতভিটা নদীতে হারিয়ে যাচ্ছে। তারা নদী ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর