২০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২০:০৬

এরশাদ বলেছিলেন- নারায়ণগঞ্জে শুধু ‘ওসমান লীগ আর ওসমান পার্টি’ : সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :

এরশাদ বলেছিলেন- নারায়ণগঞ্জে শুধু ‘ওসমান লীগ আর ওসমান পার্টি’ : সেলিম ওসমান

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী সেলিম ওসমান বলেছেন, “এবারের নির্বাচনের পর যেন নারায়ণগঞ্জে নৌকা দেয়া হয় সেটা আপার পায়ে ধরে হলেও বলব। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ নারায়ণগঞ্জে এসে বলেছিলেন, নারায়ণগঞ্জে কোন দল নেই। নারায়ণগঞ্জে শুধু ‘ওসমান লীগ আর ওসমান পার্টি’। আজ যারা জাতীয় পার্টি করে বলে কিসের জাতীয় পার্টি, আমরা ওসমান পার্টি করি। আমি যদি বলি চলে যাবো কালকে সবাই আওয়ামী লীগ হয়ে যাবে।”

বুধবার রাতে বন্দরে নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। সেলিম ওসমান আরও বলেন, ‘আমার বাসায়ই আওয়ামী লীগের জন্ম। আমার দাদা সেসময় প্রথম মুসলিম বিত্তবান ছিলেন। আমার দাদা এমপি ছিলেন। তারপর আমার বাবা ও চাচা আমার বড় ভাই, ছোট ভাই তারপর আমি। আপনারা বলতে পারেন নৌকা কেন নেই। নৌকাই হওয়া উচিত ছিল এবার এখানে। আপনারা লাঙ্গলে ভোট দিচ্ছেন না। ভোটটা দিচ্ছেন শেখ হাসিনার জন্য। রাজনৈতিক কৌশলের কারণে লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করতে হচ্ছে। জীবনে একবার নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে পারলে জীবনের আশা পূরণ হত। আল্লাহ সব আশা পূরণ করেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমার ওপর নির্দেশ এসেছে। আমি আগেই বলেছি আমার ওপর যদি আপার নির্দেশ আসে আমাকে নির্বাচন করতেই হবে। শরীরের অবস্থা যাই হোক না কেন।’ সেলিম ওসমান আরও বলেন, ‘আমার মা বলেছিল প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে স্কুল বানাও। যেন পরবর্তী প্রজন্ম শিক্ষিত হয়। তারা সুশিক্ষিত হিসেবে যেন গড়ে উঠতে পারে। আমি আপনাদের দোয়ায় প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে স্কুল করতে পেরেছি।’

বন্দরে ব্যবসায়িক জোন শান্তির চর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদি আজ আমাদের এখানে শান্তির চরে ব্যবসায়িক জোন হয়ে যায়। বন্দরের একটি মানুষও অভাবে থাকবে না। আমি এটা শেষ করতে পারিনি। তবে কোটি টাকা এখানে বরাদ্দ করা আছে। পারিনি কারণ এমন ভয়াবহ করোনা হল, আমাদের কাজ বন্ধ। তারপর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ।’

জামায়াত-বিএনপি প্রসঙ্গে সেলিম ওসমান বলেন, ‘ওরা একদিক দিয়ে জ্বালায় আরেকদিক দিয়ে বলে কে বা কারা আমাদের দোষী করার জন্য এগুলো করছে। নির্বাচন করবে না তো করবে না। এত চিন্তা কেন। তোমরা এখন চাও মানুষ যেন ভোটকেন্দ্রে না যায়। টেলিভিশনে খবর দেও হরতাল-অবরোধ। কিছুই করতে পারো না। তোমরা পাকিস্তানি দোষর। মনে রাখবা আমাদের কিন্তু এক বছরও লাগেনি। নয় মাসে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। অনেকে আমার বন্ধু, বিএনপি করে বাড়ি থাকতে পারে না। তাদের বলতে চাই বিএনপির ডাকে সাড়া দিবেন না।’

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি যুদ্ধ করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগের দিন নাস্তা বানিয়ে রাখবেন। সকালে ভোট দিয়ে তারপর বাসায় খাবার খাবেন। লাঙ্গলেই দিতে হবে তা না। যাকে খুশি তাকে ভোট দিবেন। আমার ভুলত্রুটি থাকতেই পারে। যদি ভুল থাকে তাহলে ক্ষমা করে দিবেন। হয়ত আল্লাহ আমার ওপর সন্তুষ্ট হয়ে বলেছেন তোকে হায়াত দিলাম তুই তোর অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করে আসবি। সেই দোয়ায় বোধহয় আমি আবারও নির্বাচন করছি।’

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর