বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকার তাদের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে চায়। তারা ক্ষমতার মাধ্যমে মেঘা দুর্নীতি করে অবৈধ সংসদ গঠন করবে। বিগত ১৫ বছরে এই সরকার ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলারের উন্নীত করেছে। এই দায় দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের খেটে খাওয়া মানুষের ওপর। এই টাকা তারা লোপাট করে বিদেশে পাচার করে বেগম পাড়া তৈরি করেছে।’
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল কর্তৃক আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘যেদিন মনোনয়ন দাখিল হয়েছে সেদিনই তো নির্বাচন হয়ে গেছে। তাই বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ কোনো গুরুত্ব বহন করে না। বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন বর্জন করেছে; কারণ এ দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। জনগণের ইচ্ছার কোনো প্রতিফলন হয় না।’
মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আজ থেকে ৫২ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধ করে এই দেশে স্বাধীন করেছিল। আমরা বলেছিলাম একটি স্বাধীন দেশ চাই যে দেশে থাকবে গণতন্ত্র গরিব মানুষের স্বাধীনতা। পাকিস্তানের বাইশটি পরিবার সমস্ত সম্পদ কুক্ষিগত করে নিয়েছিল আজ এই আওয়ামী সরকার তাই করছে। সেই ২২ পরিবারের পরিবর্তে তাদের আত্মীয়-স্বজন মিলে ২২০টি পরিবার তৈরি করেছে।’তিনি বলেন, ‘আমরা বিগত এক বছর যাবত প্রতিবাদ করেছি। শুধু একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এ দেশের পরিবর্তন আনার জন্য। আমরা সংঘাতের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এ দেশের পরিবর্তন আনতে। এই সরকার দেশের সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করেছে। এই সরকারকে বুঝতে হবে ২০২৪ সাল কিন্তু ২০১৪ সাল নয়। এই ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে নিবে এ চিন্তা করার কোনো সুযোগ নেই।’
বিডি-প্রতিদিন/শফিক