২৫ মার্চ, ২০২৪ ১৬:১৯

ব্যস্ততা বাড়ছে বরিশালের মার্কেট ও শপিংমলে

রাহাত খান, বরিশাল

ব্যস্ততা বাড়ছে বরিশালের মার্কেট ও শপিংমলে

বরিশালে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বাড়তে শুরু করেছে মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে। দোকানে নতুন নতুন কালেকশন। ক্রেতারাও পছন্দের পোশাক কিনতে ঘুরছেন মার্কেটগুলোতে। এদিকে, ক্রেতাদের ইচ্ছে পূরণে সকল চাহিদা মাথায় রেখে আয়োজন সম্পন্ন করেছে নগরীর শপিংমল ও চকবাজারের ব্যবসায়ীরা।

গত কয়েক বছরে করোনা এবং মানুষের অর্থনৈতিক টানাপোড়েনসহ নানা বাস্তবতায় এবারের ঈদে ভালো বেচা বিক্রির প্রত্যাশা তাদের। এদিকে ঈদে পোশাকের বাজারে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার উপর বিশেষ নজর দিয়ে পোশাকের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত নজরদারি করার কথা বললেন জেলা প্রশাসক। ক্রেতাদের নিরাপত্তা ও বিশেষ নজর রাখাসহ নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে বাড়তি ট্রাফিক ব্যবস্থার কথা জানালেন পুলিশ কমিশনার।

গত দুই বছরে বেশ কয়েকটি নামিদামি ব্র্যান্ডের নতুন শো রুম হয়েছে বরিশাল নগরীতে। ক্রেতাদের চাহিদা ও রুচির বিষয়টি মাথায় রেখে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ সব বয়সী মানুষের জন্য নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক আনা হয়েছে শো রুমগুলোতে। রমজান শুরুর পর থেকে ক্রেতা সমাগমও বেশ ভালো।

নগরীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও কাপড়ের বাজার চকবাজারে ব্যবসায়ীরা ঈদ বাজারের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তবে এখনো জমজমাট হয়নি চকবাজারের এই মার্কেট। এখন বেচা বিক্রি একটু কম হলেও শেষ রমজানে বিক্রি বাড়ার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, ক্রেতারা পছন্দের পোশাক কিনতে ঘুরছেন মার্কেটগুলোতে। তবে নগরীতে নতুন নতুন নানা ব্র্যান্ডের শো রুম হওয়ায় ডিজাইন ভেদে দামের সাথে উপযুক্ততা যাচাইয়ে কিছুটা ভিন্নমত ক্রেতাদের। একে তো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আবার রমজান মাসের খরচের বিষয় মাথায় রেখে পোশাকে বাড়তি খরচ প্রতিটি মানুষের উপর বাড়তি চাপ মনে করছেন ক্রেতারা।

নগরীর একটি অভিজাত শপিংমলে কেনা কাটা করতে আসা মিসেস নুরুন্নাহার বলেন, ‘এবারে অনেকগুলো শপিংমল নতুন নতুন হইছে। সেই হিসেবে প্রত্যেক জায়গাতেই সুন্দর সুন্দর জামা-কাপড় আসছে। তবে দামটা বেশি মনে হচ্ছে তার কাছে। 
তিনি বলেন, ঘুরে ঘুরে দেখছি সবখানে পছন্দ আর সাধ্যের সমন্বয়ে যেটা হবে, সেটাই কিনবো।’

পরিবারের জন্য কেনা কাটা করতে আসা ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আবার রমজান মাসের খরচের বিষয় মাথায় রেখে পোশাকে বাড়তি খরচ প্রতিটি মানুষের উপর বাড়তি চাপ মনে করছেন তিনি। তারপরও তো কিছু কিনতে হবে তাই ঈদ বাজারে আসা।

এদিকে চকবাজার, কাটপট্টি, পদ্মাপতী, গীর্জামহল্লা ও লাইনরোড ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুর রহিম বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাকের দাম ন্যায্যমূল্য রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ক্রেতাদের ভোগান্তি লাঘবে প্রশাসনের পাশাপাশি কমিটির সদস্যরা কাজ করবে। তিনি বলেন, এখনও ঈদের বাজার তেমন না জমলেও ১৫ রমজানের পর জমজমাট হবে।

এদিকে আসন্ন ঈদুল ফিতরের পোশাক বাজারে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার উপর বিশেষ নজর দিয়ে পোশাকের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত নজরদারি করার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম।

অপরদিকে ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পোশাকে, সাদা পোশাকের পাশাপাশি বিশেষ নজর রাখাসহ নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে বাড়তি ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুল কবির।

বরিশাল নগরীর, চকবাজার, কাটপট্টি, পদ্মাপতী, গীর্জামহল্লা ও লাইনরোড এলাকার ব্যবসায়ীরা ১৫ রমজানের পর বেশি ক্রেতা সমাগমের প্রত্যাশা করলেও সদর রোড, বগুড়া রোড ও পুলিশ লাইন্স রোডসহ বিভিন্ন রোডের শো রুমগুলোতে ঈদের বেচাকেনা শুরু হয়েছে পয়লা রমজান থেকেই। সামনের দিনগুলোতে এই বিক্রি বাড়বে বলে আশা তাদের।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর