রংপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নগরীর মর্ডাণ মোড়স্থ স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভ ‘অর্জন’-এ পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সায়ফুজ্জামান ফারুকী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু, র্যাব-১৩ কমান্ডার আরাফাত ইসলামসহ অন্যরা।
এরপর নগরীর বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল ও সুরভী উদ্যানস্থ শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এর আগে দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রংপুর শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ ডিসপ্লের মাধ্যমে স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধু ও দেশের উন্নয়নকে ফুটিয়ে তোলা হয়।এ সময় বিজয়ী দলগুলোকে পুরস্কৃত করা হয়। দুপুর ১২টায় শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধিত করা হয়। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জেলার মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়। জেলখানা, এতিমখানা, পুনর্বাসন কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন সংগঠন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই