১ এপ্রিল, ২০২৪ ১৯:৩৬

মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক

মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজউকের উচ্ছেদ অভিযান

রাজধানীর মোহাম্মদপুর বছিলা ৪০ ফিট রোডের পাশে নির্মাণাধীন অবৈধ ভবনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানে চলাকালে সময়ে বসিলা ৪০ ফুট রোড ও কেরাণীগঞ্জ রোডের পাশে নকশাবিহীন নির্মাণাধীন একটি ভবনের সম্পূর্ণ অংশ অপসারণ করা হয়। এছাড়া বসিলা ৪০ ফুট রোড সংলগ্ন কয়েকটি বহুতল ভবনের আংশিক অপসারণসহ মুচলেকা নেওয়া হয়। 

অভিযান পরিচালনা করেন রাজউকের পরিচালক (অডিট ও বাজেট) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান।

সোমবার সকাল ১০টা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে বিকালে শেষ হয়। 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান বলেন, আজকে মোহাম্মদপুর বছিলা ৪০ ফিট এভিনিউ ও এর আশপাশে এলাকায় রাজউক নকশাবিহীন ভবন নির্মাণ করায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করি। নকশাবিহীন নির্মাণাধীন সকল ভবনে ইতিমধ্যে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য একাধিকবার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এই এলাকায় রাজউকের অনুমোদন গ্রহণ ব্যতিরেকে ইমারত নির্মাণ করায় ০৭টি নির্মাণাধীন ইমারতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এর মধ্যে বসিলা ৪০ রোড সংলগ্ন ০ সেটব্যাক রেখে নির্মাণাধীন ১টি ভবনের সম্পূর্ণ অংশ ও ০২টি ভবনের আংশিক ভেঙে দেওয়া হয়। 

তিনি আরও বলেন, ডিপিডির সহায়তায় ৬টি নির্মাণাধীন ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। একই সঙ্গে তারা যেন পরবর্তীতে রাজউকের অনুমোদন ব্যতীত ইমারত নির্মাণ না করে সে বিষয়ে মুচলেকা প্রদান করেন। তাছাড়াও এই এলাকায় যারা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করবেন, তারা যেন রাজউক থেকে অনুমোদন নিয়ে নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করে এই বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে। মোবাইল কোর্ট চলাকালে বসিলা ৪০ফুট সংলগ্ন ভবন মালিক প্লট নং-৭১০/১ এর ভবন মালিক ইজহারুল হক সেতুর অশোভন আচরণের কারণে তাকে মোহাম্মদপুর থানায় আটক রাখা হয়। পরবর্তীতে তার কার্যক্রমের ভুল বুঝতে পারায় মোহাম্মদপুর থানায় তার কৃতকর্মের জন্য মুচলেকা নিয়ে গোলাম সামদাদি খানের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

মোবাইল কোর্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জোন-৫ এর পরিচালক, হামিদুল হক, অথরাইজড অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী অথরাইজড অফিসার মেহেদী হাসান, প্রধান ইমারত পরিদর্শক সাব্বির আহমেদ, ইমারত পরিদর্শক আব্দুল সাত্তার, তুহিন রেজাসহ রাজউকের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর