ঈদে স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে ঘরে ফিরছে মানুষ। তবে ভোর থেকে রাজধানী ছাড়ার বিভিন্ন পয়েন্টে তৈরি হয়েছে গাড়ির জটলা। এ ছাড়া গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায়ও আছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
সোমবার দুপুরের পর গাজীপুরের বিভিন্ন পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় বিকেলের দিকে শ্রমিকদের স্রোত নামে মহাসড়কে। যাত্রীদের পাশাপাশি সড়কে বাসের সংখ্যাও বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে যানজটও।
এরপর থেকেই অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে শুরু হয়েছে যানজট। চন্দ্রা ত্রিমোড় থেকে নবীনগর ও সফিপুর সড়কে দুই কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর পর্যন্ত থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। ফলে গাড়ি চলছে ধীরগতিতে।এদিকে, টাঙ্গাইলে মহাসড়কেও দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদে ঘরে ফেরা মানুষ। গভীর রাতে শুরু হওয়া এ যানজট ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কের টাঙ্গাইল সদরের আশেকপুর বাইপাস থেকে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার সড়কে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এর আগে, ভোরে সেতুর উপর ২২ নম্বর পিলারের কাছে একটি ডাবল ডেকার বাস বিকল হয়ে যাওয়ার পর সেটি উদ্ধারে ৫ মিনিট টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে মহাসড়কে পরিবহনের চাপ আরও বেড়ে যায়।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে পরিবহনের খুব চাপ রয়েছে। এতে পরিবহনগুলো খুবই ধীরগতিতে চলাচল করছে। এ ছাড়া সেতুর উপর একটি বাস নষ্ট হওয়ায় ৫ মিনিট বন্ধ ছিল পরিবহন চলাচল। পরিবহনগুলো রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলার কারণেও অন্য পরিবহনগুলোতে ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই