এক হাজার শয্যার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন রোগী থাকে ১৮০০ থেকে দুই হাজারের ওপর। বেশ কয়েকদিন থেকে এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে প্রচণ্ড খরতাপ। বৈরী আবহাওয়ায় জ্বর ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগ বেড়েছে। সেই সাথে রমেক হাসপাতালেও রোগীর চাপ বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ অত্যাধিক। শিশু ওয়ার্ডে রোগীর স্থান সংকুলান না হওয়ায় ওয়ার্ডের বারান্দাতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে এটা স্বাভাবিক। গরমে কারণে খুব একটা রোগী বাড়েনি। তবে তাপদাহে রোগীর সংখ্যা বাড়লে প্রস্তুতি রয়েছে।
রমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ৭৮জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। রবিবার মোট রোগীর সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৫৪ জন। যা ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণের বেশি। অতিরিক্ত রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কুড়িগ্রাম থেকে আসা আব্দুর রহমান মেয়েকে রমেক হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন। তিনি জানান, এক সপ্তাহ ধরে দেড় মাস বয়সী শিশুর পাতলা পায়খানা ও জ্বর। শিশুটির নিউমোনিয়া হয়েছে। তাই রমেক হাসপাতালে ভর্তি করেছি।নাতিকে নিয়ে হাসাপাতালে এসেছেন পারুল আখতার নামে এক মহিলা। তিনদিন ধরে পাতলা পায়খানা, বমি এবং জ্বরে ভুগছে তার নাতি। শয্যা না থাকায় হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রংপুরের পীরগঞ্জের চতরা এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা ষাটোর্ধ বোরহান উদ্দীন বলেন, ‘চিকিৎসা নিতে এসে বিপদেই পড়ে গেছি। কোন বেড না পেয়ে মেঝেতেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। খুব কষ্ট হচ্ছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা, ইউনুস আলী বলেন, গরমের কারণে খুব একটা রোগী বাড়েনি। ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেক রোগীকে বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। এটা স্বাভাবিক। তবে তাপদাহের কারণে রোগবালাই মোকাবেলার জন্য আগামী মঙ্গলবার আন্তঃবিভাগীয় সভা ডাকা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল